শুক্রবার ধূপগুড়ির গার্লস কলেজে একটি অস্থায়ী সেফ হোমের উদ্বোধন করা হয়। —নিজস্ব চিত্র।
চা বাগানে সংক্রমণ কমলেও উত্তরবঙ্গে বাড়ছে কোভিড মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার ধূপগুড়ির গার্লস কলেজে একটি অস্থায়ী সেফ হোমের উদ্বোধনে এসে স্বীকার করলেন উত্তরবঙ্গের করোনা বিষয়ক আধিকারিক সুশান্ত রায়। এ নিয়ে জনসাধারণের সচেতনার অভাব ও অবহেলাই দায়ী বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার সেফ হোমের উদ্বোধনে সুশান্ত রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকারিক গয়ারাম নস্কর, ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষ, পুরসভা চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মণ, ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিংহ-সহ অনেকে। সেফ হোমের উদ্বোধনের পর তার ব্যবস্থা ঠিকঠাক রয়েছে কি না, তা পরিদর্শন করেন সুশান্ত। তিনি জানিয়েছেন, ১০০ শয্যার ওই সেফ হোমে পরে আরও সাড়ে ৪০০ বেডের ব্যবস্থা করা হবে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলার কোভিড পরিসংখ্যান নিয়ে তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ ১ মে থেকে ২২ তারিখের মধ্যে ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গে প্রচুর সেফ হাউসে বেডের ব্যবস্থ করা হয়েছে। জলপাইগুড়িতে ১,৩৫০টি বেডের ব্যবস্থা সত্ত্বেও সেগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এ দিকে রোগীরা মারা যাচ্ছেন। এটা আমাদের কাছে খুব দুঃখের। আক্রান্তেরা যেন বাড়িতে না থাকেন। শেষ মুহূর্তে আমাদের কাছে সংক্রমণের খবর আসছে। ফলে সে অর্থে তাঁরা চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না।” সাধারণের মধ্যে করোনা সচেতনতা বাড়ানোয় জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।