স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের কমেছে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রাজ্য জুড়ে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে তিনশোর কাছাকাছি পৌঁছল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড রোগীদের মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের থেকে কমেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭২ জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সোমবার এই সংখ্যাটি ছিল ১৯৫। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২১,০৫,২২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ২০,৮০,২৯৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৪৭৭। তাঁদের মধ্যে ৩,২৯৬ জন গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন। এবং বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের কমেছে। ওই সময়ের মধ্যে তা দাঁড়িয়েছে ২.৭২ শতাংশে। যদিও সোমবার তা ছিল ৩.১৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০,০০৮টি কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা ২৬,২১৬,৪৮৪টি।
চলন্ত গড় কী, এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়, তা লেখার শেষে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে ২১,৪৪৬ জন রোগী মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২,৬৫,৫০৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, এখনও পর্যন্ত প্রথম টিকা নিয়েছেন ৭২,৯৩৫,৪৪৭। দ্বিতীয় টিকা পেয়েছেন ৬৪,৫৯৩,৭১৯ জন।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)