ফাইল চিত্র।
ভয়াল ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাজ্য সরকার বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালকে শামিল করছে ঠিকই। কিন্তু যে-কোনও স্থানীয় নার্সিংহোমে করোনা-চিকিৎসা আটকাতে চাইছে তারা। সেই জন্য কিছু পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে সরকার। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা মনে করছেন, যে-কোনও ছোট নার্সিংহোম, যেখানে করোনা-চিকিৎসার নির্দিষ্ট ‘প্রোটোকল’ নেই, সেখানে এই রোগের চিকিৎসা করলে রোগী এবং সার্বিক পরিস্থিতির উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সেই জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকার মাধ্যমে প্রথা মেনে এই কালান্তক রোগের চিকিৎসা করাতে চাইছে নবান্ন।
সোমবার করোনা-পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বিধিমাফিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত না-হয়ে বলা যাবে না যে, কেউ করোনায় আক্রান্ত। অথচ ইতিমধ্যে এই ধরনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, কোনও নার্সিংহোমে রোগীর মৃত্যু হলে বলে দেওয়া হচ্ছে, মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। অথচ সেই নার্সিংহোমে করোনা-চিকিৎসার প্রোটোকলই নেই। উত্তরবঙ্গে করোনায় মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার নির্দেশ সোমবারের করোনা-বৈঠকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রোটোকল না-থাকা সত্ত্বেও একটি নার্সিংহোমে এই রোগের চিকিৎসার খবর এসেছে সম্প্রতি। এই জায়গাটাই রুখতে চাইছে সরকার।
যে-সব সরকারি হাসপাতাল বা বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে করোনার চিকিৎসার নির্দিষ্ট প্রোটোকল রয়েছে, সেখানেই চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য। সরকারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে ছোট এবং স্থানীয় নার্সিংহোমগুলিকে বলা হতে পারে, রোগীর উপসর্গ করোনার সঙ্গে মিলছে বলে সন্দেহ করলে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম রোগীকে ধরে না-রেখে যেন রাজ্য সরকারকে সেই তথ্য জানায়। তখন সরকার চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট রোগীকে নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।