ফাইল চিত্র।
করোনার টিকা নেওয়ার লাইন বাড়ছে ক্রমশ। রেফ্রিজারেটর খুলে হাসপাতালের এক কর্মী দেখলেন, উধাও হয়ে গিয়েছে করোনা টিকার ১৬টি ভায়াল।
একে এখন প্রতিষেধকের আকাল। এরই মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে করোনার টিকা চুরির অভিযোগ উঠল। একটি ভায়ালে ১০ জনের টিকাকরণ হয়। সেই হিসেবে চুরি গিয়েছে টিকার ১৬০টি ডোজ়। মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনার কথা হাসপাতালের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
তদন্তে করতে বুধবার হাসপাতালে গিয়েছিল পুলিশের একটি দল। তদন্তকারী অফিসারেরা হাসপাতালের আধিকারিক এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশেপাশের এলাকাও ঘুরে দেখেছেন। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, যে ঘর থেকে চুরি গিয়েছে টিকা সেখানে সিসি ক্যামেরা নেই। ফলে বাধা পাচ্ছে তদন্ত। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, ঘটনার পিছনে কোনও দুষ্টচক্র থাকতে পারে। হাসপাতালের পরিচিত কারও সূত্রে কেউ বা কারা টিকা সংরক্ষণ করে রাখার ওই ঘরে ঢুকেছিল। সুযোগ বুঝে টিকা চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটি ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি যেখানে জানানোর জানানো হয়েছে। আমি এ নিয়ে কিছু বলব না।’’
হাসপাতালের এক সূত্রের খবর, ওই ভায়ালগুলি ছিল কোভ্যাক্সিনের। টিকা সক্রিয় রাখতে হলে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। তাই হাসপাতালের রেফ্রিজারেটরে সেগুলি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার হাসপাতালের ওই কর্মী টিকা দেখতে না পেয়ে অন্যদের ডাকেন। তন্ন তন্ন খুঁজেও মেলেনি টিকা।