প্রতীকী ছবি।
লকডাউন শেষে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল সিমেস্টার পরীক্ষার আগে ক্লাস কতটা হবে, সেই প্রশ্ন তো উঠছেই। তেমনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কলেজগুলিকে দেওয়া স্যানিটাইজ় বা জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েক জন কলেজ অধ্যক্ষের বক্তব্য, সপ্তাহে ছ’দিন ক্লাস নিয়ে বাকি পাঠ্যক্রম শেষ করার চেষ্টা চালানো যেতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষকেরা রাজি হবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। এর জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দিষ্ট নির্দেশ প্রয়োজন।
রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রম শেষ করার পরে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং ডিএসও। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘‘লকডাউনে অনলাইনে পঠনপাঠনের সুফল অনেক পড়ুয়াই পাননি। তাই ক্লাসরুমে পাঠ্যক্রম শেষ করে পরীক্ষা নেওয়া হোক।’’ সৃজনদের দাবি, পড়ুয়াদের সিমেস্টার ফি এ বার মকুব করতে হবে। কারণ বহু পরিবার চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। পুরো বিষয়টি তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানাচ্ছেন। ডিএসও-র রাজ্য সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক এ দিন বলেন, ‘‘লকডাউন কাটলে উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করে পাঠ্যক্রম শেষ করতেই হবে। অনলাইন ক্লাসের ভিত্তিতে পরীক্ষাসূচি করলে তা হবে চূড়ান্ত ছাত্রছাত্রী-বিরোধী পদক্ষেপ।" ফি মকুবের দাবিও জানায় ডিএসও।
লকডাউন কাটলে ১০ দিনের মধ্যে কলেজভবন জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ নিয়ে অধ্যক্ষদের বক্তব্য, এই কাজে প্রায় এক লক্ষ টাকা লাগবে। এই মুহূর্তে কলেজগুলো সেই পরিস্থিতিতে নেই। কলকাতা পুরসভা এ কাজের দায়িত্ব নিলে ভাল হয়। চিত্তরঞ্জন কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি বিষয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষামন্ত্রীকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। আরও কয়েক জন অধ্যক্ষ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছেন বলে শিক্ষা সূত্রের খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বলেন, ‘‘কলেজগুলি এ বিষয়ে পুরসভা, স্বাস্থ্য দফতর বা দমকলের সঙ্গে যোগযোগ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্যাম্পাস এবং হস্টেল স্যানিটাইজ় করার জন্য একই ধরনের চিন্তাভাবনা চলছে।’’