মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হাসপাতালে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর সেই সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের নিয়মবিধি ঠিকমতো মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা দেখার পাশাপাশি রাস্তায় থাকা মানুষের খাবারের আয়োজন থেকে শুরু করে প্রবীণ ও অসহায় মানুষের বাড়িতে ওষুধ, খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
কিন্তু সেই সব পুলিশকর্মীর অবস্থা এখন ঠিক কেমন? তাঁরা সকলে মাস্ক বা মুখাবরণ, গ্লাভস বা দস্তানা পেয়েছেন কি? পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজ়ার বা হাতশুদ্ধি জুটছে কি তাঁদের? ভয়াল ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে নামা পুলিশকর্মীদের হালহকিকত খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার লালবাজারে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার ঘর ঘুরে দেখার পরে তিনি লালবাজারের করিডরে থাকা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের খবর নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের বাড়ির সকলে ভাল আছেন কি না, জানতে চান তা-ও। শুধু তা-ই নয়, করিডরে থাকা পুলিশকর্মীরা দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখেননি দেখে তিনি নির্দেশ দেন, সকলে যেন দেড় মিটারের দূরত্ব বজায় রাখেন।
অনেক পুলিশকর্মীর মাস্ক দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাদের মাস্কগুলি ভাল মানের নয়।’’ লকডাউনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য সব পুলিশকর্মীকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান তিনি। পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘দুর্যোগকে ভয় পেলে হবে না। দুর্যোগকে জয় করাই বড় কাজ।’’ লালবাজার ঘুরে দেখার পরে মুখ্যমন্ত্রী ভবানী ভবনেও যান।