Coronavirus in West Bengal

টহল পূর্ব মেদিনীপুরে, উত্তরবঙ্গে লরি চালকদের সঙ্গেও কথা কেন্দ্রীয় দলের

সোমবার সকাল থেকেই তাঁরা হাসপাতাল, বাজার এবং বেশ কিছু এলাকায় গিয়েছেন। কথা বলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ১১:৪৩
Share:

চিকিৎসা পরিষেবার খুঁটিনাটি বিষয় যেমন খোঁজ নিচ্ছেন, তেমনই লকডাউন মানা হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন—ফাইল চিত্র

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ফের পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রয়েছেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। সোমবার সকাল থেকেই তাঁরা হাসপাতাল, বাজার এবং বেশ কিছু এলাকায় গিয়েছেন। কথা বলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও। চিকিৎসা পরিষেবার খুঁটিনাটি বিষয় যেমন খোঁজ নিচ্ছেন, তেমনই লকডাউন মানা হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন। দক্ষিণবঙ্গের দলটি টহল দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। অন্য দিকে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা শিলিগুড়িতে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন। এমনকি তাঁরা লরি চালকদের সঙ্গেও কথা বলে তাঁদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন।

Advertisement

এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ গুরুসদয় রোড-এর বিএসএফ ক্যাম্প থেকে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উদ্দেশে রওনা দেন। প্রথমেই তাঁরা যান পাঁশকুড়ার বড়মা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ম মেনে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে কি না, অন্য কোনও সমস্যা আছে কিনা, তা জানতে চান বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি তাঁরা সরাসরি রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন। তার পর হলদিয়াতে যান কেন্দ্রীয় দল। সেখানকার একটি কোয়রান্টিন সেন্টারে কী ভাবে চিকিৎসা চলছে খতিয়ে দেখেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হটস্পট জোনে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তমলুক, হলদিয়া-সহ জেলার আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় হাসপাতাল এবং এলাকায় পরিদর্শনে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় দলটিও শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনে বেরিয়েছেন। শিলিগুড়ি থেকে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লরি, ট্রাক দেখে গাড়ি থেকে নামেন দলের সদস্যরা। লরি চালকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, জানতে চাওয়া হয়। খাবার ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না, হাত নিয়মিত ধোয়া হচ্ছে কি না, তা-ও তাঁরা লরি চালকদের কাছে জানতে চান। পরে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতি নগরে পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে মৃত করোনা আক্রান্ত মহিলা চেন্নাই থেকে ফিরে ওই এলাকায় এক আত্মীয়দের বাড়িতে উঠেছিলেন। ওই এলাাকায় লকডাউন পালন করা হচ্ছে কি না? পুলিশ কি ব্যবস্থা নিচ্ছে? তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এলাকাবাসীদের সঙ্গেও কথা বলে কেন্দ্রীয় দল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের যাওয়ার কথা রয়েছে এ দিন।

আরও পড়ুন: রোজা শুরুর আগেই ভাগের আলু পৌঁছে দিলেন হোমে

রাজ্যে দু’টি কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শন চলছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা বেশ কয়েকটি হাসপাতাল, বাজার এবং এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁরা লকডাউন এবং পরিষেবা নিয়ে সব ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট হতে না পেরে ইতিমধ্যেই পাঁচটি চিঠি দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। অসহযোগিতা নিয়ে অভিযোগও করেছেন। যদিও রাজ্যের তরফে স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সাহায্য করা হয়েছে। নতুন করে কিছু সাহায্য করার নেই। কিছু জানতে চাইলে ই-মেল করে জেনে নিতে পারেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। লকডাউন ভেঙে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য।

আরও পড়ুন: ‘রিজার্ভ বেঞ্চ নেই! রোগী কে দেখবেন?’

দক্ষিণবঙ্গের দলটি রাজারহাট কোয়রান্টিন সেন্টার, এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল, সঞ্জীবন হাসপাতাল, ডুমরজলা স্টেডিয়াম কোয়রান্টিন সেন্টার, হাওড়া সালকিয়া, গোলাবাবাড়ি, কলকাতারা বিভিন্ন বাজারে পরিদর্শন করা হয়ে গিয়েছে। রবিবার উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রীয় দল কালিম্পংয়ে গিয়ে প্রশাসনিক সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ করে ফিরে আসেন। তাঁরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, শিলিগুড়ি পুরসভার বিভিন্ন এলাতে পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই তাঁরা কেন্দ্রকে দিয়েছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement