হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের বাইরে ব্যস্ততা। ছবি: পিটিআই
তিনি এই মুহূর্তে করোনা-আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর ভাইও পেটের সমস্যা নিয়ে ভর্তি পঞ্চসায়রের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যগোপনের অভিযোগ উঠেছে। বরাহনগরের করোনা-আক্রান্ত ৬৬ বছরের ওই বৃদ্ধের ভাই সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ থেকে ফিরেছিলেন। কিন্তু পঞ্চসায়রের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, বাইরে কোথাও যাননি। কলকাতাতেই ছিলেন। কিন্তু এই মধ্যপ্রদেশ যাওয়ার কথা জানতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর লালারসের নমুনা পাঠিয়েছেন নাইসেডে। বিষয়টি জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকেও। এ দিন রাতে সেই নমুনার রিপোর্ট আসে। তাতে নেগেটিভ ধরা পড়ে।
বরাহনগরের করোনা-আক্রান্ত বৃদ্ধ এ ক’দিন লেকটাউনের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে সোমবার সকালে সেখান থেকে বাইপাসের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনি জ্বর নিয়ে লেকটাউনের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। রবিবার তাঁর কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। নার্সিংহোমে তিনি সাধারণ ওয়ার্ডে বিশেষ নজরদারিতে ভর্তি ছিলেন। সে কারণেই ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে সাত জনকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের লালরসের নমুনাও পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
অন্য দিকে বরাহনগরের বাসিন্দা ওই বৃ্দ্ধের ভাইকে আপাতত পঞ্চসায়রের হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ওই হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন আরও এক করোনা-আক্রান্ত। তিনি নয়াবাদের বাসিন্দা। এগরার বিয়েবাড়িতে যাওয়া ওই বৃদ্ধ এখনও সঙ্কটমুক্ত নন। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, তিনি ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন। তবে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে সামান্য উন্নতি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় রাজ্যে দ্বিতীয় মৃত্যু, এ বার কালিম্পঙে মৃত ৪৪ বছরের মহিলা