—নিজস্ব চিত্র।
লকডাউনের শুরু থেকেই বন্ধ ছিল ব্যান্ডেল চার্চ। অতিমারির জেরে এ বার বড়দিনেও তার দরজা খুলছে না। ফলে প্রতি বছরের মতো ব্যান্ডেল চার্চের মিডনাইট মাস-এ অংশ নেওয়ারও সুযোগ মিলবে না।
বড়দিন উপলক্ষে প্রতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর আলোকমালায় সেজে ওঠে হুগলি জেলার ব্যান্ডেল চার্চ। চার্চের সামনের মাঠে তৈরি করা হয় গোশালা। সেখানে যিশুর জন্মবৃত্তান্ত তুলে ধরেন চার্চ কর্তৃপক্ষ। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনায় উপস্থিত থাকতে ভিড় হয় চার্চে। ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টার মিডনাইট মাস বা মধ্যরাতের বিশেষ প্রার্থনা অনেকে অংশগ্রহণ করেন। অনেকে আবার গঙ্গার ধারে পিকনিক করতেও বছরের এই সময় চলে আসেন ব্যান্ডেলে। তবে চলতি বছরে অতিমারির কারণে সে সব বন্ধ রাখা হয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে লকডাউনের শুরু থেকেই ব্যান্ডেল চার্চে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। কলকাতার আর্চবিশপ বড়দিনেও চার্চ খোলার অনুমতি দেননি। ফলে বন্ধ রয়েছে চার্চের গেট। ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার ফ্রান্সিস বলেন, “আর্চবিশপ ৫০ জন দর্শনার্থীকে ঢোকার চার্চে অনুমতি দিয়েছেন। তবে সাধারণের জন্য চার্চের গেট বন্ধই থাকবে। কেবলমাত্র চার্চের ফাদার-সিস্টাররা প্রার্থনা কক্ষে প্রার্থনা করতে পারবেন। সেখানে সাধারণের প্রবেশাধিকার থাকবে না। তবে বড়দিনে চার্চের গেটে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রভু যিশুকে শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা থাকবে। গোশালাও আকারে ছোট করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর জন্য বরাদ্দ হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এবং বুলেটপ্রুফ গাড়ি
আরও পড়ুন: রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের উত্থানের সাক্ষী মাখরা এখন প্রায় বিজেপি-শূন্য
প্রতি বছর মধ্যরাতে বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দিতে যান স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন ক্লেমেন্ট। অতিমারির কারণে ব্যান্ডেল চার্চের প্রার্থনা হবে না শুনে মনখারাপ তাঁর। তিনি বলেন, “বছরের এই একটা দিন প্রার্থনাকক্ষে বিশেষ প্রার্থনা করার সুযোগ পাই। এ বার সেটা আর হবে না।”
প্রতি বছর বড়দিন থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যান্ডেল চার্চ বন্ধ থাকে। তবে চার্চের সামনে ঘেরা মাঠ খোলা থাকে। বিভিন্ন মডেল দিয়ে সাজানো মাঠ এবং গোশালা দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে এ বারের বড়দিনে ফাঁকাই থাকছে ব্যান্ডেল চার্চ।