ছবি: নার্স ইন্দ্রাণী দত্তের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।
পিপিই কিটে আপাদমস্তক ঢাকা। সে অবস্থাতেই সিলেটি লোকগীতি ‘নয়া দামান’-এর তালে তাল মিলিয়ে নাচছেন একজন নার্স। কোভিড ওয়ার্ডের পরিচিত ছবি ছাপিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের নার্স ইন্দ্রাণী দত্তের এই নাচের ভিডিয়োই আপাতত নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ইন্দ্রাণীর দাবি, কোভিড রোগীদের মনোবল বাড়াতেই নাচের সাহায্য নিয়েছেন তিনি। তাঁর এই ভাবনার তারিফ করছেন হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও।
ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, তিনি কোনও দিন নাচ শেখেননি। তবে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে হাসপাতালের যে সমস্ত রোগীরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন, তাঁদের মনে ইতিবাচক ভাবনা ঠেলে দিতেই নেচে উঠেছেন তিনি। ইন্দ্রাণী কথায়, “কোভিড রোগীরা অনেকেই মানসিক ভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। হাসপাতালে তাঁদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হয় না। বহু কোভিড রোগী শারীরিক ভাবে যতটা না অসুস্থ, তার থেকেও বেশি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। তাঁদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব জাগাতেই এই ভিডিয়োটা তৈরি করেছি।”
ইন্দ্রাণীর এই মনোভাবকে বাহবা দিয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপারিন্টেডেন্ট নার্স সুরভি মুখোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “আমাদের একজন নার্স এত সুন্দর নাচতে পারেন, তা জানা ছিল না। কোভিড রোগীরা যে মানসিক ভাবেও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন, তা অনেকেই এর আগে তেমন করে ভাবেননি। রোগীরা কোভিডের যন্ত্রণায় তো ভুগতে থাকেনই, সেই সঙ্গে পরিবার বা আত্মীয়দের থেকে দূরে থাকায় তাঁরা নিঃসঙ্গও হয়ে পড়েন। কোভিড রোগীরা যদি এই নাচে আনন্দ পান, তাতে ক্ষতি কী?”
প্রসঙ্গত, ইন্দ্রাণী যে গানের সঙ্গে নেচেছেন, সেই ‘নয়া দামান’ গানটিও সম্প্রতি নেটমাধ্যমে আলোড়ন তুলেছে। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের এই লোকগীতিটি নতুন ভাবে পরিবেশন করেছেন আমেরিকা নিবাসী তরুণ সুরকার মুজা।