গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্য জুড়ে করোনার দৈনিক সংক্রমণ খানিকটা কমলেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২৩ হাজারের গণ্ডি পার করল। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনার পরেই কলকাতাকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর। নতুন সংক্রমণের মতোই কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যাও আগের দিনের থেকে কমেছে। সংক্রমণের দৈনিক এবং মোট হারও নিম্নমুখী।
শনিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ২ হাজার ৪৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ৩৬৪ জন। এ ছাড়া, পূর্ব মেদিনীপুরে ২৪৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সেই সঙ্গে, দার্জিলিং (২৩৬), কলকাতা (২১৭), জলপাইগুড়ি (২০২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৭৩), হাওড়া (১৬৩), পশ্চিম মেদিনীপুর (১৩৮) এবং নদিয়া (১২০) জেলায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ বা তার বেশি হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে আগের দিনের থেকে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩ হাজার ১৩।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, আগের থেকে কোভিডে মৃত্যুর দৈনিক সংখ্যা কমে হয়েছে ৫৫। তার মধ্যে নদিয়ায় সবচেয়ে বেশি ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় ১০, কলকাতায় ৯, দার্জিলিঙে ৫, হুগলিতে ৪, জলপাইগুড়ি এবং হাওড়ায় ৩ জন করে আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন করে মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ১৭ হাজার ২৯৫ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকায় সংক্রমণের হারেও এর প্রভাব পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এর দৈনিক হার কমে ৫.২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া, সংক্রমণের মোট হার কমে হয়েছে ১০.৮৫ শতাংশ।
করোনার সংক্রমণ রুখতে রাজ্য জুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করার পাশাপাশি টিকাকরণ কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্য়ে মোট ২ লক্ষ ৭ হাজার ৩৫৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ হাজার ১১৭টি।