Coronavirus in West Bengal

তিন মাসে দ্বিতীয় বার করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক, হুগলিতে এই প্রথম

একই ব্যক্তির দ্বিতীয় বার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় চিন্তিত জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুগলি শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:২৬
Share:

দীপ্তজিৎ দাস।

হুগলিতে এই প্রথম একই ব্যক্তির মধ্যে দ্বিতীয় বার করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলল। তিন মাসের ব্যবধানে কোভিডে আক্রান্ত হলেন জেলার এক চিকিৎসক। আক্রান্ত চিকিৎসকের দাবি, ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে তিনি যথেষ্ট সাবধানতা নিয়ে পরিষেবা দিয়ে এসেছেন। তবে তাঁর কাছে চিকিৎসার জন্য আসা মানুষজন স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। করোনা নিয়ে গা-ছাড়া মনোভাবের ফলেই জেলায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে মনে করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। জেলায় একই ব্যক্তির দ্বিতীয় বার সংক্রমণের ঘটনায় উদ্বেগে স্থানীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, হুগলির শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎস দীপ্তজিৎ দাস গত আগস্ট মাসের শেষ দিকে করোনায় আক্রান্ত হন। সে সময় তাঁর বাড়ির অনেকের মধ্যেও সংক্রমণ ছ়ড়িয়েছিল। সেপ্টেম্বরে সুস্থ হওয়ার পর দীপ্তজিৎ কাজে যোগ দেন।

চিকিৎসকের পরিবার জানিয়েছে, কয়েক দিন ধরে দীপ্তজিতের জ্বর-কাশি-মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এর পর ফের তাঁর কোভিড টেস্ট করানো হয়। গত রবিবার ওই রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে জুড়ে কুয়াশার দাপট চলবে, কমবে দৃশ্যমানতা, তাপমাত্রার বিশেষ তারতাম্য হবে না

একই ব্যক্তির দ্বিতীয় বার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় চিন্তিত জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা। হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এটা অস্বাভাবিক নয়। এর আগেও এ ধরনের দু’একটা কেস পাওয়া গিয়েছে। তবে উৎকণ্ঠার বিষয় হল, দেশে কোভিডে মৃত্যুর হার ২ শতাংশের নীচে থাকলেও তার মধ্যে চিকিৎসকদের মৃত্যুর হার প্রায় ১৮ শতাংশ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পেশাগত কারণেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। ফলে কোভিড বিধি নিয়ে সাধারণের মধ্যে গা-ছাড়া মনোভাবের ফলেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।’’ শুভ্রাংশুবাবুর মতে, ‘‘এক বার করোনা হলেই অনেকে মনে করছেন, সারা জীবনের জন্য হয়তো হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এই ধারণাটা সঠিক নয়।’’

আরও পড়ুন: টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে নতুন অ্যাপ আনল কেন্দ্র

করোনা নিয়ে যে এখনও সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন শুভ্রাংশুবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘শিক্ষিত ও সচেতন মানুষেরাও যে ভাবে হাটেবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সিনেমা-রেস্তরাঁয় যাচ্ছেন তাতে আশঙ্কার কারণ রয়েছে। রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও আমরা করোনামুক্ত হয়েছি,এটা বলার সময় এখনও আসেনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement