এক নজরে রাজ্যের করোনা মানচিত্র। গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই যে প্রবণতা দেখা গিয়েছিল, অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ ধাক্কা মারার সময়েও সেই একই ধারা বজায় রয়েছে। রবিবার রাজ্যে যত জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তার প্রায় অর্ধেক ওই দু’টি জেলাতেই। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৩ হাজার ৯৪২ এবং কলকাতায় আক্রান্ত ৩ হাজার ৯৩৫।
উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা ছাড়াও, একাধিক জেলায় সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। করোনার সেই মানচিত্রে দেখে নেওয়া যাক একনজরে— হাওড়া (৯৯৮), নদিয়া (৯২৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৬৬৭), বীরভূম (৬৩৬), হুগলি (৬২৪), মুর্শিদাবাদ (৫০১), মালদহ (৪৬৯), দার্জিলিং (৪৪২), বাঁকুড়া (৪০৪), পশ্চিম মেদিনীপুর (২৩৫), পূর্ব বর্ধমান (৩৩৮), পুরুলিয়া (২৮৯), উত্তর দিনাজপুর (২৫১) এবং দক্ষিণ দিনাজপুর (১৬৫)।
রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৫১৫ জন। যার জেরে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৮ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৯৩ জন। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৯৫ জন। যা শনিবারের থেকে ১ হাজার ৮৩৬ জন বেশি।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ৫৬ হাজার ২০৯টি কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১৭ হাজার ৫১৫ টি। এর জেরে দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৩১.১৬ শতাংশে। সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় এর মোট হার দাঁড়িয়েছে ৮.১৯ শতাংশ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে ৯২ হাজার ১৯৩ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৭১ জনকে।
রবিবার রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯২ জনের। এর মধ্যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে কলকাতায়। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯ জন, বীরভূমে ৯ জন, হুগলিতে ৬ জন এবং দার্জিলিঙে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।