এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যের করোনা মানচিত্রে কলকাতার ছবিটা সবচেয়ে ভয়াবহ। মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার মহানগরে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে যত জন আক্রান্ত হয়েছেন, তার চার ভাগের প্রায় এক ভাগ কলকাতার। সেই সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুর পরিসংখ্যানও আশঙ্কাজনক। রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এখনও লক্ষাধিক। সংক্রমণের হারও ৩০ শতাংশের ঊর্ধ্বে।
স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ২০৭ জন। তার জেরে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা (৩,৮২১) এবং উত্তর ২৪ পরগনা (৩,৭৭৮)-য় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। এ ছাড়া হাওড়া (৯৫৫), হুগলি (৮৮২), পশ্চিম বর্ধমান (৮৫০), বীরভূম (৭৮২), নদিয়া (৬৯০), পূর্ব বর্ধমান (৫৮৯), মালদহ (৫০৭), পূর্ব মেদিনীপুর (৪১৫), দার্জিলিং (৩৯৫), পুরুলিয়া (৩৮২), বাঁকুড়া (২৭৩), উত্তর দিনাজপুর (২৬০), জলপাইগুড়ি (২৪২), পশ্চিম মেদিনীপুর (২২২), কোচবিহার (২০৩), আলিপুরদুয়ার (২১৪) এবং দক্ষিণ দিনাজপুর (১৩৬) জেলায় সংক্রমণ আগের তুলনায় বেড়েছে বেশ খানিকটা।
রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৫ হাজার ৮১২ জন। যা মঙ্গলবারের তুলনায় ৫ হাজার ১৯৭ জন বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৩৩ জন। তার জেরে রাজ্যে এখন মোট সুস্থের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৮১ জন।
গোটা রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। গোটা কোভিড পর্বে এক দিনে এত জনের মৃত্যু এর আগে আর দেখেনি রাজ্য। এর মধ্যে কলকাতায় ২২ এবং উত্তর ২৪ পরগনার ১৬ জন রয়েছেন। এ ছাড়া হুগলিতে ৫, হাওড়ায় ৫, জলপাইগুড়িতে ৫, বীরভূমে ৪, দার্জিলিঙে ৩ এবং পুরুলিয়ায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজার ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ৩১.৩২ শতাংশে। মোট সংক্রণের হারও বেড়ে হয়েছে ৭.৬৯ শতাংশ। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ হাজার ৯৩৬ জনের। প্রতি দিন যত সংখ্যক কোভিড পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তার শতাংশের হারকেই সংক্রমণের হার বলা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে টিকাকরণ হয়েছে ২ লক্ষ ৭ হাজার ৭৩৭ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে ১ কোটি ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৩৫ জনের টিকাকরণ হয়েছে।