প্রতীকী ছবি।
ফের রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু একাধিক চিকিৎসকের। শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাঁচ জন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন। চিকিৎসক মহল সূত্রের খবর, গত বছর থেকে এ পর্যন্ত কোভিডে মোট ১২৭ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হল।
এ দিন সকালে ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে প্যাথলজিস্ট সুবীর দত্তের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তালতলায় 'সায়েন্টিফিক ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি'-র অধিকর্তা সুবীরবাবু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগে ১৯৯০-'৯৮ পর্যন্ত ডিন পদে ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সরকারি কমিটি ও সংগঠনেও বিবিধ পদে ছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সুবীরবাবু। সে দিন থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। অন্যদিকে এ দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বারাসতের প্রবীণ চিকিৎসক উৎপল সেনগুপ্তের। আবার কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন আরেক চিকিৎসক সতীশ ঘাটা। তিনি নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তনী।
আবার এ দিনই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরেক তরুন চিকিৎসকের। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী সন্দীপন মন্ডল (৩৭) মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এসএনসিইউ-র মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন। পাশাপাশি ইইডিএফ হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে স্ত্রী-রোগ চিকিৎসক দিলীপ চক্রবর্তীর।
রাজ্যে একের পর এক চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম’-এর আহ্বায়ক চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ বলেন, ‘‘অতিমারি পরিস্থিতিতে আমরা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা বিপদ জেনেও সামনে এগিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছি। যে কোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তবে করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসক বা চিকিতসাকর্মীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এবং তাঁদের প্রাণহানি ঘটলে পরিবারের দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিত।’’