গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যে কোভিড রোগীদের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বে়ড়ে ফের দেড়শোর কাছাকাছি পৌঁছল। এই নিয়ে টানা দু’দিন। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৭ জন সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। সে সঙ্গে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ফের ১৯ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। গত কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এর মোট হার দাঁড়িয়েছে ৯.৯১ শতাংশে। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ফের ৪ হাজারের বেশি নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৪৭ জনের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার বাসিন্দা যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৩। এ ছাড়া, ওই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৬, জলপাইগুড়িতে ৮, হাওড়া এবং উত্তর দিনাজপুরে ৭ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের ৬ জন করে সংক্রমিত মারা গিয়েছেন। অন্য দিকে, দার্জিলিং এবং বীরভূমে ৫ জন করে কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, বাঁকুড়ায় ৪, হুগলিতে ৩, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, এবং পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন করে মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৩ হাজার ২৮৪ জনের কোভিডে মৃত্যু হল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা দৈনিক আক্রান্ত ৪ হাজার ১১৬। কলকাতায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৫১ জন। অন্য দিকে, হুগলি (১,৩৩৯), হাওড়া (১,২২২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১,২৩৬), নদিয়া (৯৯৪), পশ্চিম মেদিনীপুর (৯০৩), পূর্ব মেদিনীপুর (৮৪৯), পশ্চিম বর্ধমান (৬৯৬), পূর্ব বর্ধমান (৬০৫), বাঁকুড়া (৫৪৪), দার্জিলিং (৫০৯) জেলায় আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা উদ্বেগজনক। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ১১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৩০ জন।
সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ৬০ হাজার ১৩৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই সঙ্গে, ওই সময়ের মধ্যে কোভিড টেস্ট হয়েছে ৬৪ হাজার ৩২৭টি। তবে সংক্রমণের দৈনিক হার ৩০.৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় গ্রাফিক কার্ডে সংক্রমণের মোট এবং দৈনিক হার যথাক্রমে ৩০.৩৩ ও ৯.৯১ শতাংশ করা ছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী)