চাপ বাড়ছে বেলেঘাটায়। ছবি: পিটিআই।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ছ’জন ভর্তি রয়েছেন। সোমবার একজনের মৃত্যুও হয়েছে। ‘গৃহ-পর্যবেক্ষণে’ রয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা সন্দেহদের ভিড় বাড়ছে। জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশকেই একটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এমন পরিকাঠামো রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
ওই হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে দু’হাজারের বেশি বেড রয়েছে। মেডিক্যাল কলেজে যাঁরা বিভিন্ন কারণে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হতে পারে।একইসঙ্গে করোনা সন্দেহে যাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের মেডিক্যালে আনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
বেলেঘাটা হাসপাতালে প্রথম দিকে ৪০টি আইসোলেশন বেড তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বেডের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে,১০০টি বেড করা হবে। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও এখন বেশি করে আইসোলেশন বেড তৈরি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও পরিকাঠামো তৈরি রাখা হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে যদি রোগীর করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়, সেই পরিস্থিতির কথা ভেবে একটি হাসপাতালেই করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: কিছুটা ছাড়ের মধ্যেই রাজ্যে শুরু হল লকডাউন, কাল থেকে কড়া ব্যবস্থা
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ অন্তর্দেশীয় উড়ান, ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের
মেডিক্যাল কলেজের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “এখনও চিন্তাভাবনার স্তরে রয়েছে বিষয়টি। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যেমন নির্দেশ আসবে, তাই করা হবে। এই মুহূর্তে মেডিক্যালে ২ হাজার ২০০ বেড রয়েছে।”একটি হাসপাতালেই করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসা হলে কী সুবিধা? ইন্দ্রনীলবাবুর কথায়: “এক জায়গায় নজরদারিতে চিকিৎসা হলেসংক্রমণ আরও কম হবে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চাপ বাড়ছে দিন দিন। মেডিক্যাল কলেজেও পরিকাঠামো তৈরি হলে খারাপ হবে না।”