ছবি পিটিআই।
নিজামুদ্দিন-পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলল রাজ্য সরকার। সরকারের দাবি, সময়মতো পদক্ষেপ করা হলে এই সমস্যা হত না। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনুমতি দিয়েছিল বলেই নিজামুদ্দিনে অনেক মানুষের জমায়েত হয়েছিল। রাজনৈতিক বিষয়ের মধ্যে যেতে চাই না। উল্টোপাল্টা, সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করছেন কেউ কেউ। মহামারি কোনও ধর্ম-বর্ণ দেখে না।’’
রাজ্য সরকারের দাবি, জানুয়ারি মাসের শেষে প্রথম করোনা-আক্রান্তের তথ্য মেলে কেরল থেকে। ভারত সরকার ২৪ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করেছে। নিজামুদ্দিনের অনুষ্ঠান হয়েছে ১৩ মার্চ। ফলে সময়মতো তথ্য পেলে রাজ্য সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দিতে সুবিধা হত। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১০-১২ দিন আগে কেন্দ্রের থেকে তথ্য পেয়েই ছ’ঘণ্টার মধ্যে মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড থেকে আসা যে ১০৮ জন বিদেশি সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন, তাঁদের কোয়রান্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ রাজ্য থেকে যে ৬৯ জন নিজামুদ্দিন গিয়েছিলেন, তাঁদেরও একই সঙ্গে রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারত সরকারের অধীনে পাসপোর্ট, ভিসা, ইমিগ্রেশন করে ওই বিদেশিরা এসেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘তার পরেও আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। নিজেরাই করিয়েছে, নিজেরাই বলে বেড়াচ্ছে, এই হল না, সেই হল না।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)