Coronavirus

করোনা! রং থাক চেনা বৃত্তে

হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক পরাগপ্রসূন গিরি জানান, এই ভাইরাস আদর্শ পরিবেশ পেলে তিন থেকে চারদিন বাঁচে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২০ ০১:০৪
Share:

গুজবের প্রভাবে রং, আবির বিক্রি দেদার কমে গিয়েছে

• দোলে করোনা ভয়

Advertisement

চিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। এ দেশেও করোনায় আক্রান্তের খবর সামনে এসেছে। এর পরেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। ভয়ে মুরগির মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন অনেকে। সামনেই দোল উৎসব। করোনা-আতঙ্কের থাবা বসিয়েছে রঙের বাজারেও।

• গুজব: সমাজ মাধ্যমে করোনা সম্পর্কে বহু গুজব ছড়িয়েছে। তার মধ্যে একটি হল রং বা আবিরের মাধ্যমেও করোনার সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কারণ, রঙের একটা অংশ না কি চিন থেকেও রফতানি হয়ে আসে। সেই জন্য এবার রং খেলার সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়ে পোস্ট ঘুরছে সমাজ মাধ্যমে। কিন্তু এটি নেহাতই গুজব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

• সত্যিটা কি?

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রং থেকে নয়। হাতের ছোঁয়া থেকে এই ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও ভারতে তেমন খবর নেই। পশ্চিমবঙ্গেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

• রং খেলা কি উচিত নয়?

রং খেলায় বাধা নেই। কিন্তু সেটা নিজের নিজস্ব আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।

• করণীয়: অচেনা হাতের

ছোঁয়া থেকে সতর্ক থাকা উচিত। কোনও জনবহুল জায়গায় অনেক অচেনা মানুষের সঙ্গে রং না খেলাই উচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতামত
ভাইরোলজিস্টি অমিতাভ নন্দী জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের নাম কোভিড-১৯। এই ভাইরাসটি সম্প্রতি সামনে এসেছে। কেউ কেউ বলছেন গরমে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে, এই ভাইরাসের মৃত্যু ঘটবে। কিন্তু এখনও সেই তথ্য পরীক্ষিত নয়। আর দোলে রং খেলা বা আবির খেলা যাবে না এটা বিভ্রান্তিমূলক প্রচার। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই রকম প্রচার করা হচ্ছে। চিকিৎসাশাস্ত্রে এই রকম প্রচারের কোন ভিত্তি নেই। ভারতে তৈরি আবিরে কীভাবে আসবে করোনার জীবাণু? আকাশ টপকে!
হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক পরাগপ্রসূন গিরি জানান, এই ভাইরাস আদর্শ পরিবেশ পেলে তিন থেকে চারদিন বাঁচে। রং এবং আবিরে এই ভাইরাস নেই। জড় পদার্থে করোনার জীবাণু থাকে কি না, তা এখনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু অন্যের ছোঁয়া থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই উৎসবের আনন্দ পেতে জনবহুল এলাকায় গিয়ে বিপদ না ডেকে আনায় ভাল।

গুজবের প্রভাব
রং, আবির বিক্রি দেদার কমে গিয়েছে। হলদিয়ার এক আবির ব্যবসায়ী শম্ভু দাস বলেন, প্রতিবারই দোলের সময় ২০০ কেজি আবির বিক্রি করি। কিন্তু এ বছর করোনা আতঙ্কে মানুষ দোকান মুখো হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত পাঁচ কেজি আবিরও বিক্রি করতে পারিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement