পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
করোনা-ত্রাসে অসময়ের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলির পঠনপাঠন কী ভাবে চলবে, মঙ্গলবার মূলত এই বিষয়েই উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠক হল। তার পরে উচ্চশিক্ষা দফতরের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়, প্রশাসনিক কোনও কোনও বিভাগ খোলা থাকবে। হস্টেল সম্পর্কেও কিছু নির্দেশ আছে।
সরকারি নির্দেশে জানানো হয়েছে, উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের দফতরের সঙ্গে সঙ্গে অর্থ, পরীক্ষা বিভাগ খোলা রাখতে হবে। প্রয়োজন বুঝে ওই সব বিভাগে কাউকে কাউকে আসতে হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন উপাচার্য। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত হস্টেল বন্ধ থাকবে। তবে অনেক বিদেশি পড়ুয়া বাড়ি যেতে পারেননি বলেই চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। হস্টেল-প্রধানের অনুমতি ছাড়া কোনও অতিথি হস্টেলে আসতে পারবেন না।
১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এক মাস ছুটির ফলে পঠনপাঠনে যে-ঘাটতি থেকে যাবে, তা কী ভাবে মেটানো হবে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন ছিল উপাচার্যদের। শিক্ষামন্ত্রী জানান, সব বিশ্ববিদ্যালয় যেন একই রকম পদক্ষেপ করে। বৈঠকে দু’টি সম্ভাবনা উঠে আসে। এক মাস সিমেস্টার এগিয়ে দেওয়া অথবা যতটা পড়ানো হয়েছে, সেখানেই গ্রীষ্মের ছুটিতে ক্লাস নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে।
শিক্ষা সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মের প্রক্রিয়া যাতে থমকে না-যায়, সেটা দেখতে হবে। কাউকে জোর করে আনতে হবে না। তবে সব জরুরি বিভাগ খোলা রাখা প্রয়োজন।