ছবি: পিটিআই।
স্বরাষ্ট্র দফতরের হিসেবে এ রাজ্যে ১৬ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৩২৩ জন তবলিগ প্রতিনিধি এসেছেন। তার মধ্যে ১১০ জন দিল্লির নিজামুদ্দিন ফেরত এবং ১৪৯ জন বিদেশি।
স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা শনিবার জানান, শুক্রবার পর্যন্ত নিজামুদ্দিন ফেরত ও বিদেশিদের মধ্যে ১৫১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিদেশির সংখ্যা ৭৬ জন। চিহ্নিতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাঁদের ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ মিললে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভাঙড় ১ ও ২ নম্বর ব্লক এলাকা থেকে কয়েক জন নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন। লকডাউনের জেরে তাঁরা এখনও ফিরতে পারেননি। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাঁরা এলাকায় ফিরলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে কোয়রান্টিনের পোস্টারে ‘বাধা’ দেবশ্রীর
মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, রঘুনাথগঞ্জ লাগোয়া এক গ্রামে নিজামুদ্দিনের তবলিগি জামাতের সমাবেশে যোগ দেওয়া এক ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে। দু’সপ্তাহ আগে তিনি দিল্লি থেকে ফিরলেও কাউকেই তিনি তবলিগে যোগদানের কথা জানাননি। শুক্রবার গভীর রাতে জঙ্গিপুর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান স্বাস্থ্য দফতরের লোকজন। তাঁকে ও পরিবারের ১২জন সদস্যকে জোর করেই স্থানীয় এক স্কুলের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও তাঁদের কারও করোনা পরীক্ষা করা হয়নি। তবে সকলেই সুস্থ রয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের বাড়খোদা গ্রামের বছর পঁচিশের এক যুবক নিজামুদ্দিন থেকে গত ১৮ মার্চ ঘরে ফেরেন। সেখান হাজির ব্যক্তিদের নামের যে তালিকা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে দিয়েছিল, তাতে বাড়খোদার ওই যুবকের নাম ছিল। শনিবার দুপুরে গ্রামে যান তমলুক ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। তবে গ্রামে ঢোকার আগেই এলাকাবাসী স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা এবং গাড়ির চালককে মারধর করেন। ভাঙচুর করা হয় গাড়িটিও। তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধার করে। নিজামুদ্দিন ফেরত হলদিয়ার এক মাঝবয়সি ব্যক্তি ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ঠিকাদারি সংস্থায় কাজের সূত্রে হলদিয়া বন্দরে যাতায়াত করেছেন। তাই শনিবার গোটা বন্দর এলাকা স্যানিটাইজ় করা হয়েছে।
দিল্লির নিজামুদ্দিনে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন, এমন এক মহিলার খোঁজ মিলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরেও। তাঁকে আপাতত হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। দাসপুর-২ ব্লকের খানখানাচকের ওই মহিলা ১৭ মার্চ দিল্লি গিয়েছিলেন। নিজামুদ্দিনে সমাবেশ কয়েক ঘণ্টা ছিলেন। ২২ মার্চ ওড়িশা হয়ে দাসপুরে ফেরেন তিনি।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)