—ফাইল চিত্র
রাজ্যেও শুরু হচ্ছে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। শনিবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যের ১৪টি মেডিক্যাল কলেজে এই র্যাপিড টেস্ট করা হবে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চিন থেকে পাঠানো র্যাপিড টেস্টের কিট পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যে
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, রেড জোনগুলিতে কতটা সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা পরিমাপ করার জন্য প্রাথমিক ভাবে এই র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে। তবে অন্য জায়গাতেও যেখানে সংক্রমণের ঘটনা তেমন ভাবে হয়নি সেখানেও পরবর্তীতে র্যাপিড টেস্ট করা হবে।
র্যাপিড টেস্ট কী?
এটি কখনই কোভিড-১৯ নির্ণায়ক কোনও টেস্ট নয়। যে কোনও ভাইরাস শরীরে আক্রমণ করলে, মানুষের দেহে সেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নিজে থেকেই তৈরি হয় প্রতিরোধী ক্ষমতা, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে অ্যান্টিবডি। চিকিৎসকদের দাবি, যে কোনও রেড জোনের বাসিন্দার র্যাপিড টেস্ট করলে জানা যাবে, সেই ব্যক্তির শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না। একটি বিশেষ অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া গেলে ধরে নেওয়া হবে সদ্য ওই ব্যাক্তির শরীরে সংক্রমণ হয়েছে। তাই চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিকে সম্ভাব্য কোভিড আক্রান্ত খোঁজার একটি বাছাই পর্ব বা স্ক্রিনিং বলেই দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা-টেস্টের নিম্নমানের কিট, অভিযোগ রাজ্যের, দায় বাইপাস করল নাইসেড
আরও পড়ুন: উপসর্গহীন আক্রান্ত খুঁজতে এ বার রাজ্যের হাতিয়ার পুল টেস্ট
কী ভাবে হবে এই টেস্ট?
এর জন্য প্রয়োজন প্রেগন্যান্সি টেস্টের মতোই এক ধরনের ছোট্ট কিট। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা হাতের আঙুল থেকে কয়েক ফোঁটা রক্ত সংগ্রহ করবেন এবং ওই কিটে প্রয়োগ করবেন। এর পর নির্দিষ্ট একটি রাসায়নিক প্রয়োগ করা হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই পাওয়া যাবে ফলাফল। দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায় এবং পরীক্ষার পদ্ধতি সরল বলে সংক্রমণ রুখতে এই পরীক্ষা কার্যকরী বলে মনে করছেন আইসিএমআরের বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: মেডিক্যালে ফের করোনার হানা, এ বার আক্রান্ত ৩ ডাক্তার, ২ রোগী
স্বাস্থ্য ভবন সূ্ত্রে খবর, প্রথমে কলকাতা-হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগণার অতি ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় সংক্রমণ কতটা হয়েছে তা বুঝতে এই র্যাপিড টেস্ট করা হবে। পরের ধাপে হবে পুল টেস্ট। একদিকে জোড়া হাতিয়ার এবং অন্যদিকে কঠোর ভাবে কার্যকর লকডাউন—অল্প সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে নেওয়া সম্ভব হবে উপসর্গ-সহ বা উপসর্গহীন কোভিড আক্রান্তদের। যত দ্রুত করা সম্ভব হবে ততই রাশ টানা যাবে সংক্রমণে।
স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কোন জেলার টেস্ট কোন মেডিক্যাল কলেজে হবে। সেই নির্দেশিকা অনুসারে কলকাতা হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার টেস্ট হবে ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বা এসএসকেএমে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি ছাড়া কোথাও র্যাপিড টেস্ট করা যাবে না।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)