প্রতীকী ছবি।
করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হল আরও দু’জনের। গত ২৪ ঘণ্টা আক্রান্ত হলেন আরও ৩৮ জন। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রবিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। শনিবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১৮। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত রোগমুক্ত হয়েছেন ১০৫ জন। গত এক দিনে নতুন করে কেউ রোগমুক্ত হননি। সব মিলিয়ে রবিবার বিকেল পর্যন্ত রাজ্য সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬১।
অন্যদিকে রবিবার গভীর রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক স্বাস্থ্যকর্তার। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীও আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, এ দিন মাড়োয়ারি হাসপাতালের এক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে কোভিডের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে ওই হাসপাতালের ১৫ জন চিকিৎসক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীকে। ফলে গোটা হাসপাতালই বন্ধের মুখে।
করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক সদ্য প্রসূতিও। হাজরার একটি বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান প্রসবের পরেই জানা যায় ওই প্রসূতি করোনা আক্রান্ত। তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা পরর পর করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের।
আরও পড়ুন: করোনার শিকার ২ লাখ পার, মৃত্যুর লাফ আরও লম্বা হচ্ছে বিশ্বে
তার মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে খুব কাছাকাছি এলাকায় দুই মহিলা এবং এক পুরুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এঁরা কাকদ্বীপের শ্রীনগর, ঋষি বঙ্কিম এবং প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। এঁদের কারও অন্য রাজ্য বা দেশে ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। এ মাসের ১০ তারিখ থেকেই এঁদের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। প্রত্যেককেই কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁদের লালরসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় এসএসকেএমে। তিনজনেরই রিপোর্ট পজি়টিভ বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে সেখানে করোনা ছড়াচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। লকডাউনের মধ্যে বাইরে থেকেও কেউ আসেননি। গোটা বিষয়টি নিয়ে ধন্দে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)