গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস
রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। ৪২ দিন পর সংক্রমণ নেমে এল ১০ হাজারের নীচে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪২৪ জন। কমেছে সংক্রমণের হারও। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণের হার এসে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫৯ শতাংশে। তবে যে হারে সংক্রমণ কমছে, সে হারে কমছে না মৃত্যু। সোমবার রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৩১। মঙ্গলবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ১৩৭।
গত ২০ এপ্রিল শেষ ৯ হাজারের ঘরে ছিল দৈনিক সংক্রমণ। তার পর তা বাড়তে থাকে হু হু করে। এ বার জুন মাস শুরুর দিনেই সেই অঙ্ক সাড়ে ৯ হাজারের কাছাকাছি এসে ঠেকল। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৬৫ হাজার ৪১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সেরে উঠেছেন ১৭ হাজার ৭২২ জন। এর ফলে রাজ্যে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮০১। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে— ৭৮ হাজার ৬১৩। তবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে টিকাকরণের হার বেড়েছে অনেকটাই। রাজ্য সরকারের হিসাব অনুসারে টিকাকরণ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৫ হাজার ৯৩৫টি। সোমবারের হিসাবের তুলনায় যা দ্বিগুণেরও বেশি।
রাজ্যের দুই অন্যতম সংক্রমিত জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ধীরে ধীরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ১ হাজার ৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ে উত্তর ২৪ পরগনায় ২,০২৮, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৫৫, হাওড়ায় ৬৬১, হুগলিতে ৪৪৮, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪৭৪, দার্জিলিঙে ৪৪৬ ও জলপাইগুড়িতে ৪৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সেখানে ৩৫ জন মারা গিয়েছেন। এর পাশাপাশি কলকাতায় ৩২, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।