—প্রতীকী ছবি
চলতি মাসে বাংলার জন্য বাড়ল কোভিড টিকার বরাদ্দ। একই সঙ্গে এই প্রথম এক দিনে ২৪ লক্ষ টিকা এল রাজ্যে। সেপ্টম্বর মাসে বাংলার জন্য এক কোটি ৩৩ লক্ষ টিকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান রাজ্যে টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক অসীম দাস মালাকার। এই প্রথম রাজ্যের জন্য এত টিকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। তার মধ্যে সোমবার ২৪ লক্ষাধিক কোভিশিল্ড এল রাজ্যে।
করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে নবান্ন রাজ্যের সব মানুষকে দ্রুত টিকা দিতে প্রস্তুত থাকলেও, রাজ্যের ভাঁড়ারে পর্যাপ্ত টিকার অভাবে টিকাকরণ গতি পাচ্ছিল না বলে দাবি রাজ্যের। এ বার এক কোটি ৩৩ লক্ষ টিকা এলে স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যে টিকাকরণের গতি বাড়বে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে সুষ্ঠু ভাবে টিকাকরণ চালাতে একাধিক নির্দেশ জারি করেছে নবান্ন। পাশাপাশি শহরতলিতেও টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এক স্বাস্থ্যকর্তা।
অগস্ট মাসের প্রথম দিকে কেন্দ্র সরকার রাজ্যের জন্য ৭৩ লক্ষ টিকা বরাদ্দ করলেও পরে আরও ২৯ লক্ষাধিক টিকা পাঠায়। যে কারণে ৩১ সেপ্টম্বর রাজ্যে মেগা টিকাকরণ চালিয়ে ১২ লক্ষাধিক টিকা দেয় রাজ্য সরকার। সেপ্টেম্বরে আগের থেকে বেশি টিকা বরাদ্দ হওয়ায় দৈনিক টিকাকরণ বাড়বে। সোমবার যে ২৪ লক্ষ কোভিশিল্ড এসেছে, তা বাগবাজারের মেডিক্যাল স্টোরে মজুত করা হয়েছে। কোন জেলায় কত টিকার প্রয়োজন, তা দেখে দ্রুত টিকা বণ্টন শুরু হবে বলে জানান এক স্বাস্থ্য আধিকারিক। যদিও সোমবার রাজ্যের কেন্দ্রীয় টিকা স্টোরে ২৪ লক্ষাধিক কোভিশিল্ড থাকলেও, কোভ্যাক্সিনের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য বলেই জানান এক আধিকারিক।
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে টিকার বরাদ্দ বাড়ানোর আবেদন করেন। তারপর থেকে রাজ্যে টিকার বরাদ্দ বেড়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।