পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পথে নেমেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোচবিহারের মাথাভাঙা। মহকুমাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়ে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূল হামলা চালিয়েছে এবং পুলিশ প্রত্যক্ষ ভাবে মদত দিয়েছে বলে জেলা বিজেপির অভিযোগ। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি-ই হামলা চালিয়েছে।
শুক্রবার গোটা রাজ্যেই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। মুরলীধর সেন লেনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ‘রাজনৈতিক হিংসা, দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, বিজেপি কর্মীদের হত্যা, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে’ রাজ্য জুড়ে সব মহকুমাশাসকের দফতরে অবস্থান বিক্ষোভ হবে। মাথাভাঙায় সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ হল শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে।
জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, ‘‘গোটা রাজ্যের মতো আমাদের জেলাতেও এ দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। মাথাভাঙায় বিক্ষোভ দেখিয়ে যখন আমাদের কর্মীরা ফিরছিলেন, তখন বোমা-বন্দুক নিয়ে তৃণমূল হামলা করে।’’ বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ, পুলিশের সামনেই হামলা হয়েছে, বোমা মারা হয়েছে, গুলি ছোড়া হয়েছে, কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি, বরং হামলাকারীদের সাহায্য করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘মাথাভাঙায় এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বিজেপির উপরে হামলা করার হিম্মত তৃণমূলের নেই। কিন্তু আমাদের কর্মীরা তো মারামারি করতে যাননি। তাঁরা গিয়েছিলেন গণতান্ত্রিক বিক্ষোভে যোগ দিতে। পুলিশের সাহায্য নিয়ে সেই নিরস্ত্র কর্মীদের উপরে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।’’ হামলায় ৭ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন, ১ জনের অবস্থা আশঙ্কানক— জানিয়েছেন মালতী।
আরও পড়ুন: প্যাংগংয়ে চিনা সেনার বিপুল সমাবেশ, তবে ভারতই সুবিধাজনক অবস্থানে
আরও পড়ুন: ২০২১-এর মাঝামাঝির আগে ব্যাপক হারে কোভিড টিকা আসার সম্ভাবনা কম: হু
তৃণমূল অবশ্য সে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের কথায়, ‘‘বিজেপির হাতে এখন আর কোনও ইস্যু নেই। তাই গোলমাল পাকিয়ে খবরে থাকতে চাইছে। তৃণমূল কর্মীদের উপরে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এ সব করে কোনও লাভ হবে না।’’