ধর্মতলায় ‘চাক্কা জ্যাম’। শনিবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী
দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি হল যাত্রীদের। কোথাও আটকাল মন্ত্রীদের কনভয়, কোথাও বিজেপি কর্মীদের বাস। কৃষি আইন বাতিলের দাবি এবং কৃষকদের উপরে ‘অত্যাচারের’ প্রতিবাদে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিতে শনিবারই এমনই ছবি দেখা গেল রাজ্যের নানা প্রান্তে।
রাজ্যে তিন ঘণ্টা জাতীয় ও সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল ‘কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’। বর্ধমানের নবাবহাটে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধে এ দিন দুপুরে আটকায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু ও স্বপন দেবনাথের কনভয়। সুজিতবাবুর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে স্বপনবাবুর গাড়িতে ধাক্কা, পতাকার লাঠির বাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। স্বপনবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘কৃষি আইনের প্রতিবাদ আমরাও করেছি। কিন্তু এমন বিশৃঙ্খলা করিনি।’’ পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষকসভার সম্পাদক সৈয়দ হোসেনের দাবি, ‘‘মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলন করেছেন।’’
নবদ্বীপে দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের একাধিক বাস আটকে পড়ে। কৃষ্ণনগর শহরে কৃষক সংহতি মঞ্চের অবরোধে বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি অভিযোগ মানেনি।
উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই কোথাও জাতীয়, কোথাও রাজ্য সড়কে অবরোধ হয়। শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি এবং জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড়ে প্রায় একই সময়ে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ হওয়ায় তীব্র যানজট হয়। শিলিগুড়িতে এ দিন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘ভারতে কি আগে আইন প্রত্যাহার হয়নি? তা হলে এটা কেন হবে না!’’
হুগলির ডানকুনিতে বেলা ১২টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে ‘গুরুদোয়ার শিখ সঙ্গত’-এর ডানলপ ও কলকাতা শাখা। দুপুরে কিছুক্ষণ অবরোধ হয় কলকাতার ধর্মতলাতেও। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে বামেদের অবরোধের ফলে, এক
দিকে যশোর রোড, অন্য দিকে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় ৩০টি, বীরভূমে ১৯টি, নদিয়ায় ১১টি জায়গায় অবরোধ করা হয় বলে দাবি। অবরোধ হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরেও।