ছবি: সংগৃহীত।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন নিয়ে জল্পনার অন্ত ছিল না বিশ্বভারতীতে। তা আরও বাড়ল ছুটিকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির (এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল) একটি সিদ্ধান্তে। ২৯ সেপ্টেম্বর কর্মসমিতির ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শনি ও রবিবার বিশ্বভারতীর সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। কর্মসমিতির সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার বলেন, ‘‘শুধু পাঠভবন এই নিয়মের কিছুটা বাইরে থাকছে। পাঠভবনে বুধবার ও রবিবার ছুটি থাকবে।’’ তবে এ নিয়ে রবিবার পর্যন্ত বিশ্বভারতীর তরফে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি।
কর্মসমিতির ওই সিদ্ধান্ত সদ্য সামনে এসেছে। প্রায় দু’মাসেরও আগের ওই বৈঠক নিয়ে এত লুকোছাপা কেন? এ নিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জবাব আসেনি এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপেরও।
এ দিকে, ছুটির নতুন নির্ঘণ্টের কথা জানাজানি হতে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিশ্বভারতীতে। আশ্রমিক সুব্রত সেন মজুমদার মনে করেন, ‘‘এমন সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বুধবার দিনটি উপাসনার জন্য ধার্য করেছিলেন। বিশ্বভারতীর জন্মলগ্ন থেকে বুধবার ছুটি থাকত। অন্য দিন ছুটি হলে সেটা বেদনাদায়ক হবে।’’ ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুরের কথায়, ‘‘খুবই অন্যায় হচ্ছে। ওই দিন কেন পরিবর্তন করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়েও বুধবার ছুটি থাকত।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদেরও অনেকে ছুটির নতুন নির্ঘণ্ট মানতে রাজি নন। এঁদের কথায়, ‘‘বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই আমরা-এর প্রতিবাদ জানাব।’’
আরও পড়ুন: দু’বছর মামলার পরে ক্ষতিপূরণ বিমা সংস্থার
শনি, রবিবারের ছুটির পক্ষে যাঁরা, তাঁদের মতে বেশির ভাগ চাকরির পরীক্ষা রবিবার থাকার কারণে, ছাত্রছাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এমনকি শনি ও রবিবার ইউজিসি-র ছুটি। তাই বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী ছুটি থাকায় ইউজিসি-র দরকারি চিঠির জবাব দিতেও দেরি হয়ে যায়। খোদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও এর আগে নানা সময়ে বুধবারের ছুটি বদলিয়ে রবিবার করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। এই আবহে নতুন নির্ঘণ্টে সিলমোহর দিল কর্মসমিতি। বিজ্ঞপ্তি জারির পরে কী হয়, দেখার সেটাই।