ABTA

টেস্ট পেপারে ‘আজাদ কাশ্মীর’, বিতর্কে এবিটিএ

এবিটিএ-র টেস্ট পেপারে দেখা যাচ্ছে, ৭২০ নম্বর পাতায় ‘গ’ বিভাগে ৩.১৬ নম্বরে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘আজাদ কাশ্মীর’ কী? এটা কোনও স্কুলের টেস্টের প্রশ্ন নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:০০
Share:

এবিটিএ-র টেস্ট পেপারে ‘আজাদ কাশ্মীর’-এর অস্তিত্ব কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত।

স্কুলপড়ুয়াদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিকের আগে তাদের টেস্ট পেপার অনুশীলন করে না, এমন পরীক্ষার্থী বিরল। সেই এবিটিএ বা অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত টেস্ট পেপারই এ বার পড়েছে বিতর্কের মুখে। এবিটিএ-র টেস্ট পেপারে ‘আজাদ কাশ্মীর’-এর অস্তিত্ব কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এবং বিতর্ক সেটিকে ঘিরেই। প্রশ্ন উঠছে, যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের ইতিহাসের পাঠ দেন, সেই সব শিক্ষকের একাংশ এমন ভুল ধারণা পোষণ করেন কী ভাবে এবং সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তরই বা আশা করেন কী করে? প্রশ্ন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারেও ‘আজাদ কাশ্মীর’-এর প্রশ্ন ও প্রসঙ্গ থাকায় বিতর্ক বেধেছিল।

Advertisement

এবিটিএ-র টেস্ট পেপারে দেখা যাচ্ছে, ৭২০ নম্বর পাতায় ‘গ’ বিভাগে ৩.১৬ নম্বরে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘আজাদ কাশ্মীর’ কী? এটা কোনও স্কুলের টেস্টের প্রশ্ন নয়। এই প্রশ্ন করেছেন এবিটিএ-র সেই সব শিক্ষক, মাধ্যমিকের টেস্টের জন্য যাঁরা ইতিহাসের প্রশ্ন তৈরি করেন এবং তা টেস্ট পেপারে সঙ্কলিত হয়।

এই প্রশ্ন টেস্টের প্রশ্নপত্রে কোনও ভাবেই থাকা উচিত নয় বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় অংশ। শিক্ষক-নেতা তথা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নবকুমার কর্মকার বলেন, ‘‘যে-সব বিষয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব জড়িত, যে-সব বিষয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেই সমস্ত বিষয় সংক্রান্ত প্রশ্নের কোথাও স্থান পাওয়া উচিত নয়।’’ যদিও নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেন, ‘‘আজাদ কাশ্মীর দশম শ্রেণির মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত ইতিহাস বইয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রশ্নকর্তা সেখান থেকেই প্রশ্ন করেছেন। তবে এই ধরনের বিতর্কিত প্রশ্ন না-থাকলেই ভাল হত।’’

Advertisement

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাসে ‘আজাদ কাশ্মীর’ নেই। পর্ষদের পাঠ্যবই প্রকাশ করেন, এমন ৩২ জন প্রকাশককে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ২১ দিনের মধ্যে শুধু ‘আজাদ কাশ্মীর’ নয়, পাঠ্যক্রম-বহির্ভূত সমস্ত অংশ চিহ্নিত করতে হবে এবং জনসমক্ষে জানিয়ে দিতে হবে যে, সেগুলো বাদ দেওয়া হচ্ছে।’’ পর্ষদ-প্রধান আরও জানান, সব বই ‘রিভিউ’ বা পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে। মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে গেলে সেই সব বই পর্যালোচনা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement