ডাক্তারদের ভোটেও বার্তা দিয়ে দাদাগিরি!

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে শাসক দলের দাপাদাপি নিয়ে অভিযোগ ও বিতর্ক দীর্ঘদিনের। কাউন্সিলের নির্বাচনের মুখে একটি এসএমএস বা বার্তাকে ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে চিকিৎসক মহলে! ওই বার্তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানোয় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৬:২৩
Share:

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে শাসক দলের দাপাদাপি নিয়ে অভিযোগ ও বিতর্ক দীর্ঘদিনের। কাউন্সিলের নির্বাচনের মুখে একটি এসএমএস বা বার্তাকে ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে চিকিৎসক মহলে! ওই বার্তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানোয় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়েছে।

Advertisement

২৩ জুলাই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনের দিন নির্ধারিত হয়েছে। মনোনয়নপত্র পেশ থেকে প্রচারের বিভিন্ন পর্বে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠন প্রগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (পিডিএ)-এর দাপট নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বুধবার সেই বিতর্কে অন্য মাত্রা জোড়ে ওই বার্তা।

এক শ্রেণির চিকিৎসকের অভিযোগ, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ চিকিৎসকদের একাংশের কাছে একটি এসএমএস পৌঁছয়। তাতে লেখা, এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসকদের কাছে দ্রুত ব্যালট পৌঁছে যাবে। যতগুলি সম্ভব ফাঁকা ব্যালট সংগ্রহ করে হস্তান্তর করতে হবে। ধন্যবাদ জানিয়ে ওই বার্তার শেষে চিকিৎসক শান্তনু সেনের নাম ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। শান্তনুবাবু ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার সম্পাদক এবং পিডিএ-র অন্যতম নেতা। তিনি এই ধরনের এসএমএস পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছেন। শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘এটা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। রাজ্যের সব চিকিৎসকের কাছে আবেদন, নিজের বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে পছন্দমতো প্রার্থীকে নির্বাচিত করুন।’’

Advertisement

শান্তনুবাবু বার্তা পাঠানোর কথা না-মানলেও বিতর্ক থামছে না। চিকিৎসক শিবিরের একাংশের বক্তব্য, এই ধরনের এসএমএস রাজ্যের অধিকাংশ চিকিৎসকের কাছে পৌঁছনোয় কাউন্সিলে নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম, সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম, মেডিক্যাল সার্ভিসের মতো চিকিৎসক সংগঠন এ ভাবে নির্দেশাত্মক বার্তা পাঠানোর তীব্র নিন্দা করেছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসক সংগঠনের তরফে ই-মেলের মাধ্যমে এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রাজ্যের রোগী পরিষেবার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাবিজ্ঞানের প়ড়ুয়াদের পাশে থাকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে কাউন্সিলের উপরে। সেই কাউন্সিলের নির্বাচন ঘিরে যদি এমন ঘটনা ঘটে, সেটা কাউন্সিলের ভাবমূর্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলবে বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement