ফাইল চিত্র।
দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের একটি মামলায় আদালত অবমাননার দায়ে রুল জারি করা হল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, অর্থসচিব মনোজ পন্থ এবং পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ সিন্হার বিরুদ্ধে। আগামী ২০ মে আদালতে তাঁদের সশরীরে হাজিরা দিয়ে জানাতে হবে কেন তাঁরা আদালতের নির্দেশ মানেননি।
পরিবহণ নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সনৎকুমার ঘোষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু করার আবেদন করে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা করেন। গত বছর সেপ্টেম্বরে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব এবং অর্থসচিব আলোচনা করে কী প্রকল্প করা যায় সেটি নির্ধারণ করবেন।
তার পর প্রায় আট মাস কেটে গেলেও সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। শুক্রবার মামলাটি আদালতে উঠলে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
মামলাকারীর আইনজীবী সমীরণ মণ্ডল বলেন, “রাজ্যে যে সব পরিবহণ নিগম রয়েছে একমাত্র দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগম ছাড়া বাকি পরিবহণ নিগমের কর্মীরা পেনশনের আওতায় আছেন। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, চার সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি যেন নির্ধারণ করা হয়। তার পর চার মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরে আমরা আদালত অবমাননার মামলা করি। এর আগেও দু’দিন এই মামলার শুনানি হয়েছে। তার পর নোটিস করতে বলা হয়েছিল। মুখ্যসচিব, অর্থসচিব এবং পরিবহণ দফতরের প্রধানসচিবের কেউই শুক্রবার আদালতে হাজির হননি। বাধ্য হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে আদালত।”
গত ২১ এপ্রিল আরও একটি মামলায় আদালত অবমাননার দায়ে মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট। ২০১৮ সালে মুকুন্দপুর নোবেল মিশন স্কুলকে সরকারি তকমা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ চার বছরেও মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিচারপতি শেখ ববি শরাফের একক বেঞ্চের নির্দেশ, চার বছরেও কেন তাঁরা আদালতের নির্দেশ মানেননি তার জবাব দিতে হবে। আগামী ১৭ মে এই মামলার শুনানি রয়েছে উচ্চ আদালতে।