প্রতীকী ছবি।
বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা প্রকাশ্যেই বলেছিল সিপিএম। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যেই সিপিএমের অবস্থানকে স্বাগত জানাল প্রদেশ কংগ্রেস। নির্বাচনী সমঝোতার বিষয়ে কংগ্রেসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বরাবর হাইকম্যান্ডই নেয়। সিপিএমের অবস্থানের কথা প্রদেশ নেতৃত্ব এআইসিসি-কে জানাবেন। সেই সঙ্গেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র সিপিএম নেতৃত্বকে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁরাও যেন রাহুল গাঁধীর সঙ্গে কথা বলেন।
সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরের সামনে বিক্ষোভ-মঞ্চ থেকে সোমবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, অন্যান্য রাজ্যে যেখানে বামেরা নেই কিন্তু কংগ্রেস শক্তিশালী, সেখানে কংগ্রেসকেই ভোট দিতে হবে। আর এ রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরোধী ভোটকে এক জায়গায় আনতে হবে। তার জন্য ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক শক্তির সমঝোতা ঠিক কী ভাবে হবে, তার রূপরেখা পরে ঠিক হবে। সেই একই জায়গায় কংগ্রেসের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সোমেনবাবু মঙ্গলবার সূর্যবাবুর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে সিপিএমকে কটাক্ষও করেছেন। প্রদেশ সভাপতির বক্তব্য, ‘‘বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসকে প্রয়োজন বলে বামপন্থীরা মনে করছেন, এই বক্তব্যকে স্বাগত জানাই। ওঁদের বিলম্বে বোধোদয় হয়ে থাকলে ভাল। আমরা ২০১৬ সালের বিধানসভায় একসঙ্গেই লড়েছিলাম। হাত ছেড়েছিল সিপিএমই। এ বার আর প্রতারণা হবে না, আশা করি!’’
সিবিআই এবং রাফাল-প্রশ্নে সিপিএম যে ভাবে পথে নেমেছে, তাকে অবশ্য সাধুবাদই জানিয়েছেন সোমেনবাবু। পাশাপাশিই তৃণমূলের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘১৯৯২ সালে বাবরি ধ্বংসের পরে ১৯৯৮ সালে বিজেপির নেতৃত্বে সরকারে যেতে যাদের বাধে না, বাংলায় যারা বিজেপির হাত ধরেছে, তাদের তো জবাব দিতে হবে!’’ প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান, শুভঙ্কর সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তী, অরুণাভ ঘোষেরা বিক্ষোভ সমাবেশে বিজেপি এবং তৃণমূল, দু’দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লালুর মতো রথ রুখবেন, প্রশ্ন সূর্যের
নিজাম প্যালেসের মতো সল্টলেকে এ দিনের বিক্ষোভ-সভাতেও অবশ্য প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী ছিলেন না। তাঁর বক্তব্য, তাঁকে কেউ এই কর্মসূচির কথা বলেনি। প্রদেশ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক শুভঙ্করবাবু ত্রুটি মেনে নিয়েই বলেছেন, ‘‘এই সভা উত্তর ২৪ পরগনা (শহর) জেলা কমিটি আয়োজন করেছে। তাই হয়তো আমাদের দিক থেকে বলা হয়নি। তবে বলা উচিত ছিল।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন আবার প্রশ্ন তুলেছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হলেও কি বামেরা কংগ্রেসকে সমর্থন করবে? সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা অবশ্য তাঁকে আমল দেননি।