কলকাতায় এলআইসি আঞ্চলিক দফতরের সামনে কংগ্রেসের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে ধস-কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামল কংগ্রেস। এলআইসি এবং স্টেট ব্যাঙ্কে আমানতকারীদের টাকা আদানি গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিনিয়োগ করে সাঝারণ মানুষকে যে ভাবে বিপন্ন করে তোলা হয়েছে, যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে বা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সেই অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছে তারা। গোটা দেশেই সোমবার প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল এআইসিসি। কলকাতা শহরেও একাধিক জায়গায় বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি সুমন পাল, শাহিনা জাভেদদের নেতৃত্বে হিন্দ সিনেমা থেকে মিছিল করে এসে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে জীবন বিমা নিগমের আঞ্চলিক দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান দলের কর্মী-সমর্থকেরা। প্রদেশ কংগ্রেসের সৌম্য আইচ রায়, শাদাব খান, শামিম আখতারেরা সেখানে ছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য প্রশ্ন তোলেন, ‘‘আদানির কাণ্ড নিয়ে গোটা দেশে হইচই। মোদীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দিদির দল কেন নীরব?’’ দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ডাকে যদুবাবুর বাজর থেকে এ দিন মিছিল ছিল হাজরা মোড় পর্যন্ত। পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও গৌতম আদানির কুশপুতুল। হাজরায় প্রতিবাদ সভায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার নথিপত্র সরিয়ে ফেলা আটকাতে আদানির গ্রেফতার দাবি করেন। প্রতিবাদ সভায় ছিলেন জেলা সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ, হাফিজ আলম সৈরানি, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, তপন আগরওয়ালেরা। খিদিরপুরেও প্রতিবাদ মিছিল ছিল সৌমেন পালের নেতৃত্বে।
তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেসের প্রশ্নের জবাবে সাংসদ সৌগত রায় অবশ্য এ দিন বলেছেন, ‘‘দিল্লিতে গান্ধী মূর্তির সামনে প্রতিবাদে আমরা তো ছিলাম। বাজারে কতটা প্রভাব পড়বে, অবশ্যই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সরকার তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যে বিবৃতি দিচ্ছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে অবশ্যই এর দায় নিতে হবে।’’