মুখ্যমন্ত্রী বাইরে থাকতেই ফের শিল্পযাত্রা বিরোধীদের

শিল্প আসছে কই, ফের পথে বিরোধীরা

রাজ্যে শিল্পের বাস্তব চিত্র আর তৃণমূল সরকারের দাবির মধ্যে ফারাক স্পষ্ট করে দেখানোর লক্ষ্যেই পদযাত্রার এমন নির্ঘণ্ট ঠিক করা হচ্ছে বলে কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

শিল্প আনতে মুখ্যমন্ত্রী যখন ভিন্ শহরে, সেই সময়েই শিল্পের দাবিতে ফের পথে নামছে কংগ্রেস। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুম্বইয়ে শিল্প-সফরের সময়ে কংগ্রেস নেমেছিল দ্বিতীয় দফার শিল্প-যাত্রায়। এ বার তৃতীয় দফার পদযাত্রাও ঠিক করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী লন্ডন সফরে থাকাকালীন।

Advertisement

রাজ্যে শিল্পের বাস্তব চিত্র আর তৃণমূল সরকারের দাবির মধ্যে ফারাক স্পষ্ট করে দেখানোর লক্ষ্যেই পদযাত্রার এমন নির্ঘণ্ট ঠিক করা হচ্ছে বলে কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য। প্রথম দফায় ব্যারাকপুর, দ্বিতীয় দফায় হাওড়ার পরে তৃতীয় দফার অধীর চৌধুরীদের গন্তব্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিল্পাঞ্চল। এরই পাশাপাশি রাজ্যের আর এক বিরোধী পক্ষ বামেদের তরফে গণসংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সিপিএমও ফের পথে নামছে এ মাসেই। কিছু দিন আগের পদযাত্রায় যে সব বুথে পৌঁছনো যায়নি, এ বার সেখানে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বামেদের।

বন্ধ কারখানার জমিতে শিল্প এবং রুগ্ণ শিল্পের পুনরুজ্জীবনের দাবিতে কংগ্রেসের তৃতীয় দফার পদযাত্রা হবে ১৪-১৫ নভেম্বর। প্রথম দিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবুর নেতৃত্বে পদযাত্রা যাবে জিঞ্জিরা বাজার থেকে নুঙ্গি এবং পরের দিন শ্যামপুর থেকে বজবজের অছিপুর। হাইড রোড, মহেশতলা, বজবজ, বিড়লাপুরের মতো শিল্পের নানা তালুকের এখন কী বেহাল দশা, তা-ই তুলে ধরতে চায় কংগ্রেস। অধীরবাবুর দাবি, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে রাজ্য সরকার যে ৭৩০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের কথা বলেছে, তার কতটুকু বাস্তবে এসেছে, সেই বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মনোজ চক্রবর্তী, আখরুজ্জামানের মতো বিধায়ক এবং জেলা কংগ্রেসের নেতৃত্ব সামিল হবেন পদযাত্রায়। মনোজবাবুর মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন লন্ডন আর শিল্পে রাজ্যের হাতে লণ্ঠন!’’

Advertisement

সিপিএমও-র উদ্যোগে বামেরা এ বার বিভিন্ন জনপদের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি যাওয়ারও পরিকল্পনা নিয়েছে। যে সব বুথ এলাকা গত ২২ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বরের পদযাত্রায় স্পর্শ করা যায়নি, সেখানেই জাঠা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হবে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস জুড়ে। জানুয়ারিতে হবে ব্লক অফিস ও পুর ভবন অভিযান। তবে আগের বার পদযাত্রা হয়েছিল ১৭ দফা দাবিতে। এ বার স্থানীয় স্তরে জাঠা হবে ডিজিটাল রেশন কার্ড, সামাজিক সুরক্ষা বা দু’টাকা কিলো চাল সকলের হাতে পৌঁছনোর মতো ৮ দফা দাবি নিয়ে। সিপিএমও-র আহ্বায়ক এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘আগের বারের দাবিগুলো ছিল এমন, যা নিয়ে ধারাবাহিক প্রচার দরকার। আর এ বারে পদযাত্রা হবে এমন কিছু দাবি নিয়ে, যেগুলো অল্প সময়ে আদায়যোগ্য।’’

শহর এবং গ্রামে একই সঙ্গে সরকার-বিরোধী ক্ষোভ সংগঠিত করা এখন বিরোধীদের লক্ষ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement