অমিত মালবীয়। —ফাইল চিত্র।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়ের বিরুদ্ধে ‘যৌন কেলেঙ্কারি’র অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের পরে এ বার সরব হল সর্বভারতীয় কংগ্রেসও। ‘হিন্দু সংহতি’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য শান্তনু সিংহ কয়েক দিন আগে মালবীয়কে জড়িয়ে ‘যৌন কেলেঙ্কারি’র একটি অভিযোগ করেছিলেন। মালবীয় অবশ্য তার প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী শান্তনুর বিরুদ্ধে পাল্টা ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার নোটিস পাঠিয়েছেন। তার পরে শান্তনু সোমবার আবার দাবি করেছেন, তাঁর অভিযোগের নিশানায় মালবীয় ছিলেন না!
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ‘পোস্ট’ করে শান্তনু অভিযোগ করেছিলেন, বাংলায় বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক মালবীয়ের কাছে ‘মহিলা পৌঁছে দেওয়া’ হয়। শান্তনুর অভিযোগকে হাতিয়ার করেই এআইসিসি-র অন্যতম মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে এ দিন দিল্লিতে বলেছেন, “অমিত মালবীয় বাংলায় মহিলাদের যৌন হেনস্থা করছেন। অভিযোগটা কংগ্রেসের কোনও নেতা নন, বরং আরএসএসের এক জন করেছেন।” নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে মালবীয়কে দলীয় পদগুলি থেকে অপসারণেরও দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। এই সূত্রেই তৃণমূল আবার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়ের একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তোপ দেগেছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “বিধানসভা ভোটের পরে বিজেপির বিবেক হিসেবে আবির্ভূত হয়ে তথাগত রায় যে কামিনী-কাঞ্চনের কথা বাংলার মানুষকে শুনিয়েছিলেন, তা আবার ফিরে এসেছে!” মানহানির নোটিসে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করা হয়েছে মালবীয়ের তরফে। মামলার নোটিস প্রত্যাহারের জন্য শান্তনুর আইনজীবী হুমকি দিচ্ছেন, এমন অভিযোগও করা হয়েছে মালবীয় তথা বিজেপির তরফে।
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরির পরে শান্তনু অবশ্য দাবি করেছেন, “আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। কখনই বলিনি, অমিত মালবীয় ‘মহিলা সংসর্গ’ করেন। বলেছি, রাজ্যের নেতারা পদ পাওয়ার লোভে মালবীয়ের কাছে মহিলা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিযোগিতা ছেড়ে কর্মীদের বাঁচানোর প্রতিযোগিতা করুন!” কংগ্রেস বিষয়টি থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আর রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “অমিত মালবীয় ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত সৎ। তাঁর সঙ্গে কারও মনোমালিন্য হতে পারে। কিন্তু এমন অভিযোগ সত্যি নয়।”