ভোটের কাজ মিটে গেলে মুখোমুখি বসে অভিন্ন কর্মসূচি এবং আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করবেন বামফ্রন্ট ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। —নিজস্ব চিত্র।
উপনির্বাচনের জন্য আপাতত ব্যস্ত দু’পক্ষের নেতারাই। ভোটের কাজ মিটে গেলে মুখোমুখি বসে অভিন্ন কর্মসূচি এবং আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করবেন বামফ্রন্ট ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার আগে আজ, মঙ্গলবারই বৈঠকে বসছেন ৬টি বামপন্থী যুব সংগঠন ও প্রদেশ যুব কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেসের রাজ্য দফতর বিধান ভবনে বিজেপির বিক্ষোভের নামে হামলার ঘটনা দু’পক্ষের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ আরও মসৃণ করেছে। কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন বাম নেতারা। তাঁদের মতে, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগেই বিজেপির ‘ফ্যাসিবাদী মুখ’ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। হামলার প্রতিবাদ এবং কংগ্রেসের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে সোমবার বিধান ভবনে গিয়েছিলেন বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় ও দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাফিজ আলম সৈরানি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে আলোচনায় নরেনবাবু জানান, এই ধরনের গুন্ডামির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সঙ্গে পথে নেমেই তাঁরা লড়াই করবেন। সোমেনবাবু বলেন, রাজ্যে মৌলবাদ যত মাথাচাড়া দেবে, তত এমন ঘটনা বাড়বে। তখনই দু’দলের নেতৃত্বের মধ্যে কথা হয়েছে, তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচন মিটে গেলে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস যৌথ আন্দোলনের আরও কর্মসূচি ঠিক করবে।
একসঙ্গে পথে নামতে চেয়েই প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান ডিওয়াইএফআইকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব মেনে আজ, মঙ্গলবার দীনেশ মজুমদার ভবনে যুব কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ৬টি বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্ব। চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতা পর্যন্ত আসন্ন ‘লং মার্চ’ ছাড়াও আরও কিছু কর্মসূচি নিয়ে দু’তরফের আলোচনা হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল গরম তেলের কড়াই হলে বিজেপি জ্বলন্ত চুলা: মানিক
কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
বিধান ভবনে হামলা এবং মানকরে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি ভাঙার ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান রোহন মিত্র, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়দের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩৪ জনকে আটক করে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে বিধান রায়ের বাড়ির সামনেও প্রতিবাদ-সভা করেছে কংগ্রেস।