অন্য দিকে, উচ্চ মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনও ছুটি নিতে পারবেন না বলে সংসদ একটি নির্দেশিকা জারি করে
জানিয়ে দিয়েছে।
প্রতীকী ছবি।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) পরীক্ষার সঙ্গে সময়-সংঘাত এড়াতে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাসূচিতে ইতিমধ্যেই এক দফা অদলবদল হয়েছে। ওই পরীক্ষার সূচি আবার এক প্রস্ত বদলানো হবে কি না, তা নিয়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি এবং জল্পনা তৈরি হয়েছে। কারণ, উচ্চ মাধ্যমিকের মধ্যেই আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের তারিখ পড়েছে। এমনিতে ২ এপ্রিল শুরু হয়ে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ২৬ এপ্রিল। কিন্তু ভোটের সঙ্গে সূচি-সংঘাতের জেরে আবার কোনও পরিবর্তন হতে চলেছে কি না, সেই প্রশ্ন তো থাকছেই। এই দোলাচলে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা-প্রস্তুতি ব্যাহত হচ্ছে বলেও শিক্ষা শিবিরের একাংশের অনুযোগ।
পরীক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের পক্ষে বিষয়টি যে খুবই উদ্বেগের, তা স্বীকার করে নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’’
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকে বলছেন, স্কুলে অন্তত দু’দিন ধরে ভোট কেন্দ্রের কাজ চলে। অনেক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর নির্বাচনী ডিউটি পড়ে। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি ফের বদলানো হবে কি না, সেই বিষয়ে শুধু জল্পনা বা বিভ্রান্তি নয়, উদ্বেগও আছে ব্যাপক।
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক-নেতা নবকুমার কর্মকার বলেন, ‘‘স্কুলে ভোট পরিচালনার জন্য কর্মীদের আগের দিনেই পৌঁছে যেতে হয়। তাই পরীক্ষাসূচি বদলানো প্রয়োজন।’’ অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘সবে উচ্চ মাধ্যমিকের সংশোধিত দ্বিতীয় রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। আবার ভোট ঘিরে এই জটজটিলতার ফলে চরম বিভ্রান্তি চলছে। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে ভাবতে অনুরোধ করছি।’’
অন্য দিকে, উচ্চ মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনও ছুটি নিতে পারবেন না বলে সংসদ একটি নির্দেশিকা জারি করে
জানিয়ে দিয়েছে।