ছবি সংগৃহীত।
‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের সমস্যা মিটল না সোমবারেও। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার ‘অনলাইন’ আবেদনের ব্যবস্থা করলেও, কী ভাবে সে আবেদন করা যাবে, তা নিয়ে ধন্দ কাটেনি জনতার। প্রাপকদের জন্য যে ‘অ্যাপ’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে, অভিযোগ, অনেকে তা ‘ডাউনলোড’ করতে পারেননি। যাঁদের ‘স্মার্টফোন’ নেই, তাঁরা কী ভাবে ‘অ্যাপ’-এর সুবিধা পাবেন, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক, দাবি বিরোধীদের।
রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক রাতে বলেন, ‘‘একটি গাইডলাইন সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠানো হয়েছে। কোথা থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে, তাতে সব লেখা আছে।’’ একাধিক জেলা প্রশাসনের কর্তার আশা, আজ, মঙ্গলবার থেকে সুষ্ঠু ভাবে এই প্রকল্পের কাজ করা যাবে।
যাঁরা সামাজিক সুরক্ষা যোজনার সুযোগ-সুবিধা বা সামাজিক পেনশন পান না, সেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাথাপিছু এককালীন এক হাজার টাকা পাবেন ওই সব শ্রমিক। ২৭ এপ্রিল ‘প্রচেষ্টার’ ফর্ম নেওয়া এবং জমা দেওয়ার জন্য বহু প্রশাসনিক দফতরে ভিড় করে জনতা। প্রকল্প স্থগিত রাখা হয়। এ দিন থেকে ‘প্রচেষ্টা’ অ্যাপের মাধ্যমে ফর্ম জমা দিতে পারার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: পদ্ধতি জটিল ছিল জানিয়ে বঙ্গে করোনার মোট তথ্য দিল নবান্ন
আদৌ কি তা করা গেল? ‘গুগল প্লে স্টোর’-এ গিয়ে বহু বার ‘অ্যাপ’টি ডাউনলোড করার চেষ্টা করেছেন মালদহের হবিবপুরের কর্মহীন নির্মাণ শ্রমিক দিলীপ রাম। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্লে-স্টোরে অ্যাপটাই দেখতে পাইনি।’’ একই নালিশ দুই দিনাজপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমানেও। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের এক সাইবার ক্যাফের মালিক মোতাহার আলির আবার দাবি, ‘‘অ্যাপে আবেদন করার শুরুতে মোবাইল নম্বর দেওয়া হলেও, ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) আসছে না। ফলে, আবেদন করা যায়নি।’’ মেদিনীপুরের নির্মাণ শ্রমিক দুলাল দাসের মতো অনেকের চিন্তা ‘‘বড় ফোন (স্মার্টফোন) নেই। কম্পিউটারের দোকানগুলোও বন্ধ।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, ‘‘প্রচেষ্টা উদ্যোগটা ভাল। কিন্তু সব গরিব মানুষের কাছে অনলাইন পরিষেবা পৌঁছয়নি। তাঁরা কী ভাবে ফর্ম জমা দেবেন?’’
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের তোপ, নস্যাৎ তৃণমূলের