ছবি পিটিআই।
দুর্নীতি দমন আইনে লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়লেন ব্যবসায়ী। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম গোবিন্দ আগরওয়াল। যদিও তিনি নিজেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বলে পরিচয় দিতেন। এ দিকে এই গ্রেফতারকে ‘রাজনৈতিক’ বলে ব্যাখ্যা করে ‘টুইট’ করলেন রাজ্যপাল। পাল্টা বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু জানান, কোথায় কাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা না জেনেই রাজ্যপাল মন্তব্য করছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার ম্যাঙ্গো লেনের নিজের অফিস থেকে গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন গোবিন্দবাবু। সেই সময়ে তাঁকে লালবাজারের গোয়েন্দারা প্রতারণা এবং দুর্নীতি দমন আইনে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার করার পরে রবিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, এ দিন বিচারক তাঁকে দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কে এই গোবিন্দ আগরওয়াল?
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে একটি ভুয়ো সংস্থার বেআইনি টাকা লেনদেনের ঘটনায় ম্যাঙ্গো লেন থেকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে তিন জন। ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ২০১৭ সালে ম্যাঙ্গো লেনের একটি চার্টার্ড ফার্মে অভিযান চালায় লালবাজারের দুর্নীতি দমন শাখা। সেই অভিযানে একটি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক থেকে মেলে একটি ‘বিশেষ লগ্নি সংস্থার’ ফাইল। তাতে এক আয়কর কর্তার আয়কর বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজ মেলে। তাতে দেখা যায় গোবিন্দ আগরওয়াল সেই আয়কর কর্তার টাকা বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থায় লেনদেন করেছেন।
এর পরই দুর্নীতি দমন শাখার এক আধিকারিক স্বতঃপ্রণোদিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সেই সম্পত্তির পরিমাণ কত তা সুনির্দিষ্ট বলা হয়নি ওই অভিযোগে। বছর তিনেক আগের দায়ের করা ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ছ’বার গোবিন্দ আগরওয়ালকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১ নম্বর ধারায় নিজের বক্তব্য জানানোর জন্য ডেকে পাঠায় বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। তিনি জানান, তাঁর মক্কেলকে যত বার ডাকা হয়েছে তত বারই তিনি পুলিশের সামনে হাজির হয়েছেন। কিন্তু তার পরেও শনিবার বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।