প্রতীকী ছবি।
ন্যূনতম পাঁচ বছরের স্কুলশিক্ষকতার অভিজ্ঞতা না-থাকলেও এ বার ‘মিউচুয়াল ট্রান্সফার’ বা আপস বদলির জন্য আবেদন করা যাবে বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন। ওই শর্ত বা নিয়মবিধির ব্যাপারে শুধু আপত্তি তোলাই নয়, তা রদ করার আবেদন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ব্রাত্যবাবু এ দিন বলেন, ‘‘এই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। আপস বদলির ক্ষেত্রে আর পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে না।’’
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি সংক্রান্ত সমস্যার সুরাহায় নতুন পোর্টাল ‘উৎসশ্রী’ চালু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে আবেদন করতে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। এই সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তাঁরা শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন জানান। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বক্তব্য, ওই পোর্টালে বদলির আবেদন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, যে-স্কুলের জন্য আবেদন করা হচ্ছে, তার বাইরেও অনেক স্কুলের শূন্য পদের তথ্য চলে আসছে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, “অনেক সময় পোর্টালে কোনও স্কুলে কোনও বিষয়ে শূন্য পদ দেখালেও সেখানে ফোন করে প্রধান শিক্ষকের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, কোনও পদই খালি নেই! ফলে রীতিমতো বিভ্রান্তিতে পড়ছেন বদলি হতে ইচ্ছুক শিক্ষক-শিক্ষিকারা।” শিক্ষকদের একাংশের দাবি, প্রতিটি স্কুলের শূন্য পদের ‘আপডেট’ বা হালতামামি পোর্টালে না-রাখলে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের বিভ্রান্তি এবং জটিলতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে।
অনেক শিক্ষকের অভিযোগ, বদলির জন্য পোর্টালে গিয়ে নথি আপলোড করতেও সমস্যা হচ্ছে। আপলোড করার পরেও সেই নথি পোর্টালে দেখা যাচ্ছে না। ফলে আবেদনের পরের ধাপে আদৌ যাবেন কি না, অনেক সময়েই সেটা বুঝতে পারছেন না শিক্ষকেরা। অল পোস্ট গ্ৰ্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন গড়াই বলেন, ‘‘পোর্টালের মাধ্যমে এই বদলি শুরু হলেও এখনও কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি বেরোয়নি।’’ বদলি সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানান, বিভিন্ন সমস্যার কথা কানে আসছে। তার মধ্যে যেগুলি সমাধানযোগ্য, ৩১ অগস্টের মধ্যে সেগুলির সুরাহা করার চেষ্টা চলছে। প্রচুর আবেদন আসছে। শিক্ষকদের তথ্য আপলোড নিয়ে যে-সমস্যা ছিল, তা মিটে গিয়েছে। প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা নেই।