department of fisheries

মৎস্য দফতরে ক্ষোভ পদোন্নতি ও বদলিতে

দফতরের একাংশের দাবি, ব্লক স্তরে কর্মরত মৎস্য আধিকারিকদের প্রথম পদোন্নতি পেতেই কুড়ি-পঁচিশ বছর অপেক্ষা করতে হয়। একাধিক পদ ফাঁকা থাকলেও সেই জায়গায় পদোন্নতি হচ্ছে না।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ০৯:০২
Share:

—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP

মৎস্য দফতরের অন্দরে নানা সময়ে বিভিন্ন অনিয়মের কথা উঠেছে। এ বার দফতরের কর্মী-অফিসারদের বদলি এবং পদোন্নতি নিয়েও অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। বদলি নীতিতে মহিলা অফিসারদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছে খোদ দফতরের একাংশ। এই অভিযোগের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া চেয়ে অবশ্য রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরীকে ফোন বা হোয়্যাটসঅ্যাপ করে কোনও উত্তর মেলেনি।

Advertisement

দফতরের একাংশের দাবি, ব্লক স্তরে কর্মরত মৎস্য আধিকারিকদের প্রথম পদোন্নতি পেতেই কুড়ি-পঁচিশ বছর অপেক্ষা করতে হয়। একাধিক পদ ফাঁকা থাকলেও সেই জায়গায় পদোন্নতি হচ্ছে না। তার ফলে বছরের পর বছর ওই অফিসারেরা আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর পাশাপাশি, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতিক্রমে ৪১ জন ব্লক মৎস্য অফিসারের পদোন্নতি তালিকা প্রকাশ করেও আচমকা তা বাতিল করে দেওয়া হয়। তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হওয়ায় এ বছর লোকসভা ভোটের আগে ওই ৪১ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ, তাঁদের পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি।

দফতর সূত্রের খবর, যে অফিসারেরা বাড়ি থেকে দূরের জেলায় দীর্ঘ দিন কাজ করে সম্প্রতি বাড়ির কাছে পোস্টিং পেয়েছিলেন, তাঁদের আবার দূরের জেলায় বদলি করা হয়েছে। অথচ, দফতরে অন্তত ৮০-৯০ জন আধিকারিক আছেন যাঁরা গত প্রায় দশ-বারো বছর নিজেদের জেলায় বা বাড়ির খুব কাছের জেলায় রয়েছেন। বদলি নীতির এই অসাম্যের জন্য মহিলাদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শিশু সন্তান আছে এমন মহিলা কর্মীদেরও বাড়ি থেকে দূরে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এক মহিলা আধিকারিক বলেন, ‘‘আমি পাঁচ বছর দূরের জেলায় কাজ করে এসেছি। আমার একটি তিন বছরের ছেলে আছে। এখন আমাকে আবার দূরের জেলায় বদলি করা হয়েছে। বাচ্চা ছেলে আর সংসারের কথা ভেবে চরম সমস্যায় পড়েছি। মন্ত্রী, সচিব এবং মৎস্য অধিকর্তাকে পোস্টিং পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছি। সুবিচারের আশায় আছি।’’

এ ব্যাপারে মৎস্যমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া না দিলেও রাজ্যের মন্ত্রী তথা সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘প্রশাসন কোথায় কী করছে সেটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। বদলির বিষয়টা সম্পূর্ণ প্রশাসনের ব্যাপার। এখানে আমাদের হাত দেওয়ার কোনও জায়গা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement