—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের উপর দিয়ে যাওয়া বিভিন্ন জাতীয় সড়কের টোল প্লাজ়ায় অর্থ আদায়ের হার সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে অভিযোগ জানালেন বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সোমবার পরিবহণ ভবনে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা। সেখানে একাধিক বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন। সেখানেই অভিযোগ ওঠে, রাজ্যের বিভিন্ন টোল প্লাজ়ায় অর্থ আদায়ের হার সমান নয়। যদিও কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী সব টোল প্লাজ়ার ক্ষেত্রেই কর নির্ধারণের হার একই হওয়ার কথা। জাতীয় সড়কে প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা ২০ পয়সা করে টোল নির্ধারণের নির্দেশ থাকলেও একাধিক ক্ষেত্রে ওই হার কোথাও আড়াই টাকা, আবার কোথাও তিন টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
এ দিন উত্তরবঙ্গের একাধিক টোল প্লাজ়া নিয়ে অভিযোগ উঠে এসেছে। টোল নিয়ে অভিযোগের সুরাহা করতে দু’তরফে নোডাল অফিসার নিয়োগের মাধ্যমে পারস্পরিক সমন্বয় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। এ দিনের বৈঠকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আঞ্চলিক আধিকারিক এস কে মিশ্র ছাড়াও পরিবহণ সচিব, দফতরের অধিকর্তা-সহ একাধিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক প্রসঙ্গে ‘সিটি সাবার্বান সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘টোল প্লাজ়াগুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে।’’ তিনি জানান, যে সব গাড়ি টোল প্লাজ়ার খুব কাছাকাছি এলাকার, সেগুলিকেও দিনের মধ্যে একাধিক বার পারাপার করতে হলে পূর্ণ দূরত্বের জন্য টাকা গুনতে হচ্ছে। এ নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানান, টোল প্লাজ়ার ২০ কিলোমিটারের মধ্যে গাড়ির মালিকের ঠিকানা হলে সে ক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাবে কম হারে মাসিক টোল প্রদানের ব্যবস্থা আছে।
বেসরকারি বাসের পাশাপাশি সরকারি বাসও টোল মেটাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে বলে অভিযোগ। বহু টোল প্লাজ়ায় ফাস্ট ট্যাগ যন্ত্র ঠিক মতো কাজ না করায় চালকদের দ্বিগুণ হারে টোল দিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে টোল প্লাজ়াগুলিতে গাড়ির নথি এবং ওভারলোডিং পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির জায়গা চাওয়া হয়েছে।