তারকের আইনজীবীরা জানান, এ ভাবে কোনও তথ্য না-দিয়ে পুলিশ কাউকে ডেকে পাঠাতে পারে না। যদিও রাজ্য সরকারের কৌঁসুলিরা দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ অনুযায়ী এ ভাবে ডেকে পাঠানোর অধিকার আছে পুলিশের।
ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে বসে টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে এক ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতারণা দমন শাখার ওসি-র বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নির্মাণ ব্যবসায় যুক্ত ওই ব্যবসায়ীকে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে একটি চেকের টাকা ফেরত চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতে দাঁড়িয়ে প্রতারণা দমন শাখার অভিযুক্ত ওসি মিন্টু দেব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশি সূত্রের খবর, চেক সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগে তারক দেবনাথ নামে ওই ব্যবসায়ীকে তলব করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যবসায়ী। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ১১ এপ্রিল দায়ের করা সংশ্লিষ্ট এফআইআর এবং তদন্তের উপরে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ২৭ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
তারকের অন্যতম আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁর মক্কেলের নির্মাণ ব্যবসা রয়েছে। তিনি অন্য একটি সংস্থার কাছ থেকে নির্মাণ সংক্রান্ত ব্যবসার সাব-কন্ট্রাক্ট পান। ওই সংস্থাটি তারকের কাছ থেকে এর আগে ৪৭ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। পরবর্তী কালে তারা তারককে একটি চেক দেয় এবং গত মার্চে ওই সংস্থার অনুমতিক্রমেই চেকটি ভাঙান তারক। তার পরেই ২৩ মার্চ লালবাজার থেকে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে ওই চেকের টাকা ফেরত দিতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। অন্য সংস্থাটির প্রতিনিধিরাও সেই সময় লালবাজারে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান সুব্রতবাবু। পরবর্তী কালে, ২৫ মার্চ তারকের নামে প্রগতি ময়দান থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়।
তারকের হয়ে হাই কোর্টে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণাভ ঘোষ ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় গোটা ঘটনা জানান এবং হুমকির অভিযোগ করেন। টাকা ফেরত না-দিলে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। তারকের বিরুদ্ধে চেক সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগ করা হলেও কল্যাণবাবু জানান, যে-মর্মে এফআইআর করা হয়েছে, তাতে বড়জোর চুরির অভিযোগ হতে পারে। তারকের আইনজীবীরা জানান, এ ভাবে কোনও তথ্য না-দিয়ে পুলিশ কাউকে ডেকে পাঠাতে পারে না। যদিও রাজ্য সরকারের কৌঁসুলিরা দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ অনুযায়ী এ ভাবে ডেকে পাঠানোর অধিকার আছে পুলিশের।