ছবি: সংগৃহীত।
দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সব ধরনের প্রতিষ্ঠান যখন বিপন্ন, সেই সময়ে কমিউনিস্ট ভাবনা ও মতাদর্শ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। এবং এই সময়ে দেশ সম্পর্কে বিজেপির কাছ থেকে বামপন্থীদের শেখার কিছু নেই! ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে এমন দাবিই শোনা গেল সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তির সূচনায় গত বছর অক্টোবরে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সমাবেশ করেছিল সিপিএম। করোনা-আবহে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আজ, শনিবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে সভায় থাকার কথা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিমের। তার আগে শুক্রবার শতবর্ষ উপলক্ষে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সভা করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির ফেসবুক পেজে ওই সভায় ইয়েচুরি, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের উপরে বক্তা ছিলেন ইয়েচুরি, কারাটের বিষয় ছিল শ্রেনি সংগ্রাম এবং কমিউনিস্টরা। স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্টদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু। সভাপতিত্বে ছিলেন সেলিম।
স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা বা সাধারণ মানুষের সব রকম অধিকারের স্বার্থে লড়াই করা— সব বিষয়েই দেশের বর্তমান শাসকদের চেয়ে বামপন্থীরা অনেক এগিয়ে, এ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন সিপিএম নেতারা। ইয়েচুরি, কারাটদের সাফ কথা, বিজেপির কাছ থেকে তাঁদের শিখতে হবে না! বর্তমান পরিস্থিতিতে ইয়েচুরি ফের সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিরোধেরই ডাক দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মানুষের রুটি-রুজির দিশা নেই, অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে যে কোনও অছিলায়। দেশের সংবিধান এবং সাংবিধানিক কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানকে চুরমার করে দেওয়া হচ্ছে। আর মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ যে সব শক্তি ও ব্যক্তি একমত হবেন, তাঁদের নিয়ে গণ-মঞ্চ গড়েই এখন প্রতিরোধের পথে যেতে হবে।’’