নারায়ণগড়ে সম্প্রীতির ফোঁটা। নিজস্ব চিত্র।
ভাইফোঁটায় সম্প্রীতির নজির গড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়। এক সঙ্গে উৎসবে শামিল হলেন নাসরিন খাতুন, খালেনা জিয়া, শেখ বাপি, শেখ শরিফ, সুভাষ রায়চৌধুরী, নমিতা সিংহ, অপূর্ব অট্টেরা।
নারায়ণগড়ের ৬ নম্বর অঞ্চলের চাতুরিপাড়া এলাকায় শনিবার হয় সম্প্রীতির ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। একই আসনে বসে ফোঁটা নিলেন উভয় সম্প্রদায়ের ভাইরা। চন্দন, ধান, দূর্বা, ফুল আর প্রদীপের থালা নিয়ে ফোঁটা দিলেন উভয় সম্প্রদায়ের বোনেরা। এই গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করেছিল নারায়ণগড় ৬ নম্বর অঞ্চল যুব তৃণমূল।
নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নমিতা সিংহ ফোঁটা দিয়ে ভাইদের মঙ্গলকামনা করেন। তিনি বলেন, ‘জাতি, ধর্মন, বর্ণ নির্বিশেষে দাদা ও ভাইদের মঙ্গলকামনা করা হল আজ।’’ ভদ্র হেমব্রম বলেন, খুব ভালো লেগেছে এখানে এ ভাবে ধর্মের বেড়াজাল ডিঙিয়ে সম্প্রীতির ভাইফোঁটার আয়োজন করার জন্য। ফোঁটা দিয়ে নাসরিন খাতুন বলেন, ‘‘ভাইদের ফোঁটা দিয়ে খুবই ভালো লেগেছে।’’
শনিবার ঘাটালের দুর্বার পল্লিতে গিয়ে ভাইফোঁটা নেন মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঘাটাল থানার পুলিশ কর্মীরা। ফোঁটা নিয়ে দুর্বার পল্লির মহিলাদের মূল স্রোতে ফেরার আহ্বান জানান মহকুমাশাসক। সে জন্য তাঁদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। প্রশাসন তাঁদের সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস দিয়ে এসেছেন। পরে সুমন বলেন, ‘‘দুর্বার পল্লিতে ফোঁটা নিয়ে ভালো লেগেছে। ওঁরা চান মূল স্রোতে ফিরতে। আজ তারই সূচনা হল।’’
অন্য দিকে, শনিবার মেদিনীপুর শহরে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ফোঁটা দেন শহর বিজেপি-র মহিলা কর্মীরা। দলের জেলা দফতরে আয়োজিত ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপি-র সভাপতি সৌমেন তেওয়ারি, সহ-সভাপতি অরূপ দাস। অরূপ বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা ঘরছাড়া রয়েছেন তাঁদের ফোঁটা দিয়ে দল জানাল যে তাঁরা একা নন। উভয় সম্প্রদায়ের ভাইয়েরাই ফোঁটা নিয়েছেন।’’