প্রতীকী ছবি।
অতিমারিতে পঠনপাঠন বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক কাজে তাঁদের কলেজে যেতেই হত। কিন্তু ছাত্রছাত্রী না-থাকায় কর্মস্থলকে নিষ্প্রাণ মনে হত অনেক শিক্ষকেরই। অবশেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডিসেম্বরে কলেজে পঠনপাঠন শুরু করার কথা বলায় শিক্ষক-অধ্যক্ষেরা খুশি। তাঁরা জানান, করোনা-সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাঁরা পঠনপাঠন শুরু করতে চান। কলেজ খোলার ব্যাপারে সার্কুলার বা বিজ্ঞপ্তি পেলে ভাল হয়। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা পেলে সেই অনুসারেই চলতে চান তাঁরা।
কলেজ খোলার সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি বলে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষা শিউলি সরকার মঙ্গলবার জানান। তিনি বলেন, ‘‘একসঙ্গে যাতে ছাত্রী ও শিক্ষকের ভিড় না-হয়, সেই জন্য সময়সীমা বাড়িয়ে তিন শিফটে কাজের কথা ভাবছি। একসঙ্গে সব ছাত্রীকে কলেজে না-এনে সপ্তাহে তিন দিন করে তাদের আনা যায় কি না, সেই বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিদ্যানগর কলেজের অধ্যক্ষ সূর্য আগরওয়াল জানান, কলেজ জীবাণুমুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক, থার্মাল গান, হাতশুদ্ধির ব্যবস্থা থাকছে। নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানান, শ্রেণিকক্ষ, শৌচালয়, ক্যান্টিন, কমন রুম জীবাণুমুক্ত করা হবে। সকলকে একসঙ্গে না-ডেকে পর্যায়ক্রমে ছাত্রছাত্রীদের আনতে চান তাঁরাও। সিটি কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যক্ষ সন্দীপকুমার পাল বলেন, “পড়ুয়ারা ক্লাসে না-হয় দূরত্ব বজায় রেখে বসল। কিন্তু ক্যান্টিনে, কমন রুমে দূরত্ব বজায় রাখাটাই চিন্তার।’’
আরও পড়ুন: আজ রাজ্যে অমিত শাহ, দরবারে কি উঠবে ৩৫৬
আরও পড়ুন: প্রেমিক মনে বসন্ত ডিসেম্বরেই
মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত জানান, তাঁরা সরকারি আদেশনামা ও স্বাস্থ্যবিধির অপেক্ষায় আছেন। “সরকার নির্দেশিকা দিলে সেই অনুযায়ী চলব। আমরা নিজেরাও কিছু পরিকল্পনা করেছি,” বলেন মন্টুরামবাবু। জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসের পরিকল্পনা করতে হবে আজ, বুধবার বৈঠক হবে।