কয়লা পাচার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি। ফাইল চিত্র।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার ১৫ জন সহযোগীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। এই দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় যে ৪১ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ওই ১৫ জনও রয়েছেন। মঙ্গলবার তাঁদের নামেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
২০২০ সালে কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। মঙ্গলবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। শুনানি চলাকালীন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে কয়লা-কর্তাদের আইনজীবীরা দাবি করেন যে, লালার সহযোগীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর সরকারি কর্মচারীরা জেলের ভেতরে থাকবেন, এটা হতে পারে না। ওই কর্মীদের পালাবার কোনও জায়গা নেই। কারণ, তাঁদের ঘরবাড়ি রয়েছে। কয়লা সংস্থার থেকে পিএফ, গ্র্যাচুইয়িটিও রয়েছে। সূত্র মারফত খবর, শুনানির পর সন্ধ্যায় বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এই আদেশ জারি করেন।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে অনুপ মাজি ওরফে লালার নাম উঠে এসেছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটের পাশাপাশি লালা-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে ইতিমধ্যেই তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে গিয়েছেন। লালার সঙ্গী বলে পরিচিত গুরুপদ মাজি-সহ চার জন গ্রেফতারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তিন জন জামিন পেলেও, গুরুপদ এখন তিহাড় জেলে বন্দি। অন্য দিকে, এই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের সরকারি আবাসন-সহ আসানসোল এবং কলকাতায় পাঁচটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।