প্রতীকী ছবি।
গ্রেফতার করা হলেও কয়লা পাচারে অন্যতম অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে শুক্রবার আসানসোলের আদালতে হাজির করানো যায়নি। ওই অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বিচারক নির্দেশ দেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করাতে হবে।
অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন বিকাশ। বুধবার সেই জামিনের মেয়াদ আর বাড়াননি বিচারক। ফলে বৃহস্পতিবার বিকাশকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ঠিক ছিল, বিকাশ কলকাতায় ইএম বাইপাসের ধারে যে-হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, গ্রেফতার করে সেখান থেকেই তাঁকে নিয়ে আসানসোল চলে যাবেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের বক্তব্য, ওই অভিযুক্তের শারীরিক অবস্থা আগের থেকে স্থিতিশীল। এই মর্মে চিকিৎসকদের রিপোর্ট গত বুধবারেই আসানসোল বিশেষ আদালতে পেশ করে সিবিআই। হাসপাতাল বিকাশকে বৃহস্পতিবার না-ছাড়ায় ক্ষুব্ধ সিবিআই হাসপাতালের কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। বিকাশকে নিয়ে যেতে না-পারলেও এ দিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ওই অভিযুক্তের গ্রেফতারির কথা জানান তদন্তকারীরা।
বিকাশের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ এ দিন আসানসোল আদালতে জানান, বিকাশ অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন। তিনি সত্যিই অসুস্থ। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।
জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিকাশের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
মাস আষ্টেক আগে বিকাশকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাঝখানে বিকাশের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হয়েছিল। সম্প্রতি বিকাশ ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। কয়লা পাচারের মামলায় মূল দুই অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাজি এখনও অধরা। বিনয় বিদেশে পালিয়েছেন বলে সিবিআইয়ের দাবি। অনুপের আছে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ।