বিনয় মিশ্র এবং বিকাশ মিশ্র। ফাইল চিত্র।
কয়লা-কাণ্ডে নয়া মোড়। শুক্রবার রাজ্যে আনা হল পারে তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রকে। ট্রানজিট রিমান্ডে বিকাশকে রাজ্যে আনা হল বলে সূত্রের খবর। শুক্রবারই তাঁকে আসানসোলের আদালতে তোলার হল।
কয়লা-কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে সম্প্রতি ধরা পড়েন বিনয়ের ভাই বিকাশ। দিল্লির বসন্ত বিহার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর তাঁর স্থান হয় তিহার জেল। সেখান থেকে সিবিআইয়ের একটি দল শুক্রবার আসানসোল সিবিআই আদালতে নিয়ে আসে তাঁকে। কয়লা-কাণ্ডে তাঁকে ইতিমধ্যেই কয়েক দফা জেরা করেছে সিবিআই। তার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন বিকাশ। ভাই গ্রেফতার হলেও, বিনয় এখনও বেপাত্তা। মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে গত কয়েক দিন ধরে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই।
এর মধ্যে লালার রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর, ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না। ঘটনাচক্রে, ২৬ এপ্রিল এই রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন। তার পরের দিন পর্যন্ত থাকছে লালার এই রক্ষাকবচ। ২৯ এপ্রিল অষ্টম তথা শেষ দফার নির্বাচন। লালা চাইছেন ভোটের সময় তো বটেই আগামী ২ মে পর্যন্ত রক্ষাকবচ পেতে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা।
কয়লা পাচার মামলায় ইসিএল, রেল এবং নিরাপত্তা সংস্থা সিআইএসএফ-এর একাংশের কর্মীদের নাম জড়িয়েছে। কয়লা খাদান থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কয়লা এ রাজ্য থেকে ভিন্ রাজ্যে পৌঁছে দিত লালার অনুগামীরা। কী ভাবে চলত এই চক্র? সে বিষয়ে আরও তথ্য পেতে একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি এবং সিবিআই। বিকাশকে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর আরও তথ্য পেয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা।
ইডি-র পাশাপাশি সিবিআই-ও কয়লা এবং গরু পাচার-কাণ্ডে তৎপর। কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।