প্রতীকী ছবি।
চাষের জমি থেকে জল সরিয়ে তা চাষের উপযুক্ত করে তুলতে একাধিক দফতরকে দায়িত্ব দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার প্রশাসনিক মূল্যায়ন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে সেচ, জলসম্পদ এবং কৃষি দফতর যৌথ ভাবে চাষের জমির হাল ফেরানোর কাজ করবে।
আমপানের পরে বহু চাষের জমিতে জল ভরে গিয়েছিল। সেই জল সরলেও বৃষ্টিতে অনেক জমি ফের জলমগ্ন হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তায় সরকার মনে করছে, প্লাবনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করে জমি থেকে জল সরানোর কাজ করতে হবে তিনটি দফতরকে।
কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। নিজেদের প্রকল্প চালাচ্ছে রাজ্য। চলতি মরসুম থেকেই রাজ্যের ফসল বিমার সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। এ ছাড়া কৃষকবন্ধু প্রকল্প থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না হন, সে দিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ মমতার। এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন কৃষক। কোনও কৃষকের অকাল মৃত্যু হলে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দেয় রাজ্য। বৈঠকে মমতার নির্দেশ মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ বিলির কাজ কোনও জেলায় বাকি থাকলে, তা দ্রুত বিলি করতে হবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও ১২ লক্ষ কার্ড দেওয়া গিয়েছে।